বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মাপাড়ে বিচ বাইকে সৈকতের আবহ

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৮:৪২

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘রাজশাহীকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পদ্মাপাড়কে ঘিরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিচ বাইক ও বিচ চেয়ার চালু হওয়ায় পদ্মাপাড়ের বিনোদনের একটি অনন্য মাত্রা যোগ হলো। এটি সূচনা মাত্র। পদ্মাপাড়ে বিনোদনকেন্দ্রের উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ চলমান আছে।’

ব্যস্ত জীবন থেকে খানিকটা মুক্তি পেতে দেশের মানুষ ছুটে যান সমুদ্র দেখতে, কখনও পাহাড় দেখতে, কখনও আবার চা বাগান। এর মধ্যে সমুদ্র দর্শনেই বেশি যান ভ্রমণপিপাসুরা।

কারণ কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে সুযোগ হয়ে বিচ বাইকে ঘুরে ঘুরে সমুদ্র দেখার। লাল-নীল নানা রঙের ছাতার নিচে শুয়ে-বসে প্রকৃতিকে উপভোগ করা। এসব আনন্দ উপভোগ করতেই শত শত মাইল পথ মাড়িয়ে যান সেখানে।

এবার সে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে শিক্ষানগরী রাজশাহীতে। পদ্মাপাড়ে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি না থাকলেও পদ্মার চরে বিচ বাইক চলছে। এ সুযোগ করে দিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।

শুধু বাইকই নয়, সমুদ্রপাড়ে থাকা চেয়ারের আদলে বেশ কয়েকটি চেয়ারও বসানো হয়েছে নদীর ধারে। রং-বেরঙের বড় বড় ছাতা আর হেলানো লম্বা চেয়ার দেখে যে কারো চোখে ভেসে উঠতে পারে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ছবি। এখানে বসে কিংবা শুয়ে নদী দেখা আর নির্মল বাতাস গ্রহণের সুযোগ করে দিতেই নেয়া হয়েছে এ উদ্যোগ।

শুক্রবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি বিচ বাইক ও ১০টি বিচ চেয়ারের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

রাজশাহীতে ঘুরে বেড়াতে পর্যটন এরিয়া খুবই কম। একেবারেই হাতে গোনা। এখানকার পদ্মা নদীর পাড় ঘিরেই মূলত প্রতিদিন বিনোদনপিপাসুদের ভিড় জমে। রাজশাহীর বাইরের কেউ এখানে এলে পদ্মা নদীর ধারেই তাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। নদীর ধারে ঘোরাঘুরির মাঝেই অনেকে সাগর পাড়ের প্রকৃতির খোঁজ করেন। তাই প্রতিদিন বিকেলেই অগণিত মানুষের আগমন ঘটে পদ্মাপাড়ে।

এর মধ্যে কেউ ঘুরতে যান নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে খানিকটা নির্মল বাতাস গ্রহণ করতে। কেউবা আবার বাড়তি বিনোদন নিতে নৌকায় উঠে কিছুক্ষণ নদীতে ঘুরে আসেন।

এরই মধ্যে পদ্মী নদীতে জেগে উঠেছে বিস্তির্ণ চর। এই চরেই আয়োজন করা হয়েছে এসব বিনোদনের।

চেয়ারে শুয়ে,বসে নদীপাড়ের প্রকৃতি উপভোগ করবেন ভ্রমণপিপাসুরা। ছবি: নিউজবাংলা

রাজশাহী নগরীর পাঠানপাড়া লালনশাহ পার্ক মুক্তমঞ্চের পাশেই করা হয়েছে। সেখান থেকেই সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় বিচ বাইক ও বিচ চেয়ার পরিচালনা করা হবে। এক রাউন্ড বিচ বাইক ব্যবহারে প্রতিজন ৫০ টাকা এবং বিচ চেয়ার ব্যবহারে ঘণ্টায় ২০ টাকা করে দিতে হবে।

উদ্বোধনের পর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘রাজশাহীকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পদ্মাপাড়কে ঘিরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিচ বাইক ও বিচ চেয়ার চালু পদ্মাপাড়ের বিনোদনের একটি অনন্য মাত্রা যোগ হলো। এটি সূচনা মাত্র। পদ্মাপাড়ে বিনোদনকেন্দ্রের উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ চলমান আছে।

‘পদ্মায় জেগে ওঠা ৮ কিলোমিটার র্দৈঘ্য ও ৫০০ মিটার প্রশস্ত চরে রিভার সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রিভার সিটির ডিজাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলে এর কাজ শুরু করা হবে।’

মেয়র বলেন, ‘বিচ বাইক ও বিচ চেয়ার থেকে সিটি করপোরেশনের মুনাফা লাভের কোনো উদ্দেশ্য নেই। এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা যাতে বিনোদন উপভোগ করতে পারেন, সেজন্য এটি চালু করা হলো। আমাদের দেখে কোনো তরুণ-তরুণী যদি বেসরকারি উদ্যোগে এ কাজে এগিয়ে আসেন, তাহলে তাদের সাধুবাদ জানাব। এ ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘পদ্মাপাড়কে এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের মতো রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে ঘুরতে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দিনে নদীতে স্পিডবোট চালুসহ বহুমাত্রিক বিনোদন ব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর