নওগাঁর রাণীনগরে র্যাব-পুলিশের সদস্য পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে কৌশলে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরের একটি টয়লেটে আটকে তার কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়।
অভিযোগকারী ৩৭ বছর বয়সী কামরুল হাসান সদর উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের চুনিয়াগাড়ী গ্রামের প্রয়াত রুস্তম আলীর ছেলে এবং স্থানীয় ডিশলাইন ব্যবসায়ী।
কামরুল হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রানীনগরে দাাঁতের চিকিৎসা করাতে গেলে পূর্ব পরিচিত পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক নারী আমাকে ফোনে ডেকে হাসপাতালের কাছে নিয়ে যান। এরপর পুলিশের এসআই এবং র্যাব সদস্য পরিচয়দানকারী যুবকদের হাতে তুলে দেন।
‘এ সময় জোর করে ওই নারীর সঙ্গে আমার অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করেন চারজন। আটকে রেখে অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। মারধর করা হয়। এক লাখ টাক চেয়েছিলেন তারা। আমি ১৬ হাজার ৫০০ টাকা দিতে পেরেছি। এরপর তারা আমাকে ছেড়ে দেন।’
কামরুল বলেন, ‘বাধ্য হয়ে ভয়ে এখন পর্যন্ত থানায় জানাইনি। স্থানীয় চেয়ারম্যান লোকমুখে জানার পর শুক্রবার বিকেলে আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি বিষয়টি দেখতে চেয়েছেন।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারী বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য গিয়ে সেখানে কামরুলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দেখা হওয়ার পর কথাবার্তা চলাকালীন হঠাৎই চারজন এসে আমাদের ঘেরাও করে টয়লেটে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে কামরুলকে মারধর করে টাকা দাবি করে। আমার কাছেও টাকা দাবি করা হয়েছিল।
‘পরে আমি তাদের অনুরোধ করলে সেখান থেকে চলে আসতে সক্ষম হই। সেখানে কী হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। হয়তো তারা পূর্ব শত্রুতার জেরে এটি ঘটিয়েছে।’
রাণীনগর থানার (ওসি) তদন্ত উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেননি। তবে যেহেতু এটি সরকারি হাসপাতালের ভেতরে ঘটেছে, অবশ্যই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।’
রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইফতেখারুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি হাসপাতালের ভেতরে ঘটেছে কি না আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেননি। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’