বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শান্তি প্রার্থনায় বড়দিন উদযাপন শুরু

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:১১

ফাদার লিটন ইউবার্ট গমেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যীশুখ্রিষ্ট পৃথিবীতে এসেছেন মানুষের মর্যাদার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি পিতা ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন কিন্তু আমরা পাপ করার মধ্য দিয়ে মর্যাদা নষ্ট করেছি। যীশুখ্রিষ্ট এই জগতে এসে তিনি আমাদেরকে ভালোবেসেছেন এবং ক্ষমা দিয়ে মানুষের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেছেন। এই মর্যাদা যেন সবাইকে দিতে পারি সেটাই বড়দিনের বড় বিষয়।’

২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড়দিন। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বেথেলহেমে এই ধর্মের প্রবর্তক যীশুখ্রিষ্টের জন্ম হয়। স্রষ্টার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে তিনি জন্মেছিলেন।

দিনটি খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য আনন্দের। শুক্রবার রাত থেকেই আনন্দের সময়টি উদযাপন শুরু হয়েছে বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। রমনা চার্চে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে আয়োজিত হয় বিশেষ প্রার্থনা।

ফাদার লিটন ইউবার্ট গমেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যীশুখ্রিষ্ট পৃথিবীতে এসেছেন মানুষের মর্যাদার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি পিতা ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন কিন্তু আমরা পাপ করার মধ্য দিয়ে মর্যাদা নষ্ট করেছি। যীশুখ্রিষ্ট এই জগতে এসে তিনি আমাদেরকে ভালোবেসেছেন এবং ক্ষমা দিয়ে মানুষের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেছেন। এই মর্যাদা যেন সবাইকে দিতে পারি সেটাই বড়দিনের বড় বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আনন্দের দিনে বলতে চাই আমরা সবাই যেন একসঙ্গে বসবাস করতে পারি। বাংলাদেশে যেন শান্তি-সম্প্রীতি অক্ষুন্ন থাকে। কিছু দিন আগে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি, সেই সর্বজনীন জাতীয়তাবোধ নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেগুলোর সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেন আরও সামনে শান্তি-সম্প্রীতির সঙ্গে মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারি।’

ফাদার লিটন ইউবার্ট বলেন, বাংলাদেশে যেন শান্তি-সম্প্রীতি অক্ষুন্ন থাকে। ছবি: নিউজবাংলা

একটি চাওয়ার কথা জানিয়ে ফাদার বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা হল, প্রত্যন্ত এলাকায় বিশেষ করে আদিবাসী এলাকায় ছোট ছোট যে জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, তারা বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন, নির্যাতিত হচ্ছেন, অভিভাবক হিসেবে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা যেন বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেন।’

রমনা চার্চে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরাও এসেছিলেন। তেমনি এক নারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি একা আসিনি, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। ছোট বাচ্চা যারা আছে তাদের বোঝাতে চেয়েছি যে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।’

সব ধর্মের প্রতি শিশুদের শ্রদ্ধা জানানো শেখাতে রমনা চার্চে এসেছেন মুসলমানরাও। ছবি: নিউজবাংলা

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে গেলেও সীমিত আকারে করা হয়েছে আয়োজন।

শনিবার সকালে ফার্মগেটের জপমালা রাণীর গির্জায় সকাল ৭টা ও ৯টায় আছে প্রার্থনা। রমনার সেন্ট মেরী’স ক্যাথিড্রালে প্রার্থনা আছে সকাল ৮টায়।

এ বিভাগের আরো খবর