বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরগুনার পথে পুড়ে যাওয়া লঞ্চের ৩৬ মরদেহ

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ২৩:৫৮

জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘লঞ্চে আগুনে মারা যাওয়া ৩৬ জনের মরদেহ রাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রেখে দেয়া হয়েছে।’

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনে প্রাণ যাওয়া ৩৬ জনের মরদেহ যাচ্ছে বরগুনায়।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরপর নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাদের মরদেহ। পরে সব মরদেহ এক সঙ্গে নিয়ে বরগুনার পথে রওনা হয় ঝালকাঠি পৌরসভার একটি ট্রাক।

সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এই চার মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সব মরদেহ নিয়ে আমরা বরগুনা যাচ্ছি। ’

তিনি বলেন, ‘চার মরদেহ ছাড়া বাকিগুলো নির্ধারিত জায়গায় দাফন করে কবরে ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হবে। পরে ডিএন টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার প্রয়াত হোসেন আলীর ছেলে ৬২ বছর বয়সী আব্দুল রাজ্জাক মাষ্টার, বেতাগী উপজেলার আব্দুল কাদেরের ছেলে ৩৫ বছর বয়সী মো. রিয়াজ হাওলাদার, বামনা উপজেলার সঞ্জিব চন্দ্রের ছেলে ১৪ বছর বয়সী স্বপ্লীল চন্দ্র ও বামনা উপজেলার ৪৫ বছর বয়সী মোসা. জাহানারা বেগম।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ‘লঞ্চে আগুনে মারা যাওয়া ৩৬ জনের মরদেহ রাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রেখে দেয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, যে চারজনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে, তাদেরকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এতে ৩৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

এ বিভাগের আরো খবর