নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চতুর্থ ধাপে ভোট রোববার।
উপজেলার উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া, মনিয়ন্দ, দরখাড় ইউনিয়নের ৪৭ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন।
শুক্রবার বিকেলে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে। শেষ মুহূর্তেও দেখা গেছে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের কাছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে আখাউড়ার ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট নিশ্চিতে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়নি কাউকে।’
আইনমন্ত্রীর এ ঘোষণায় বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমেছেন নিজ গ্রাম, এলাকা ও গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে। নৌকা প্রতীক নিয়ে কোনো প্রার্থী না থাকায় জেলার সবার চোখ এখন আখাউড়ার ইউপি নির্বাচন ঘিরে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস জানান, শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ৪৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরে সতর্কতা বাড়িয়েছে প্রশাসন। আখাউড়ার ওসি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুফিয়া সুলতানা জানান, আখাউড়ার পাঁচ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪৮ ও সাধারণ সদস্য পদে ১৬৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আখাউড়ার ওই পাঁচ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৮৪ হাজার ৪৩৮। এর মধ্যে পুরুষ ৪২ হাজার ৯৮৩ এবং নারী ৪১ হাজার ৪৫৫ জন।