বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কক্সবাজারে ‘ধর্ষণ’: যা জানাল পুলিশ

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:১৬

ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ওনাকে (ওই নারীকে) যখন আশিক মোটরসাইকেলে নিয়ে যায়, মেইন রোড দিয়ে যায়। সেখানে অনেক লোকজন ছিল। তিনি বাইকের পেছনে বসা ছিলেন, কিন্তু তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি কোনো কিছু করেননি।’

কক্সবাজারে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগ তোলা নারীকে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম মোটরসাইকেলে তুলে হোটেল জিয়া গেস্ট ইনে নিয়ে যান বলে দাবি করেছে পুলিশ।

এর আগে ওই নারী র‍্যাবের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে তাকে অটোরিকশায় তুলে ওই হোটেলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হোটেলে নেয়ার আগে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে এক দফা ধর্ষণ করা হয়। পরে হোটেলে আবারও ধর্ষণের শিকার হন তিনি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার (এসপি) জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশের ছায়া তদন্ত চলছিল, এখনও অব্যাহত আছে।

‘এখানে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয় যে ভিকটিম তিন মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন। আসামি আশিক, বাবু ওনার পূর্বপরিচিত এবং স্বামী-সন্তানসহ তিনি বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছিলেন।’

ইসরাফিল হুদা জয়া (বাঁয়ে) ও আশিকুল ইসলাম

বুধবার রাতের ঘটনা নিয়ে অভিযোগকারী নারী ও তার স্বামী মামলার তদন্তকারীদের কাছে বিস্তারিত জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন এসপি জিল্লুর।

তিনি বলেন, ‘ওনাকে (ওই নারীকে) যখন আশিক মোটরসাইকেলে নিয়ে যায়, মেইন রোড দিয়ে যায়। সেখানে অনেক লোকজন ছিল। তিনি বাইকের পেছনে বসা ছিলেন, কিন্তু তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি কোনো কিছু করেননি।’

৯৯৯-এ কল করেও ওই নারী সাড়া পাননি কেন জানতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি দাবি করেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, ‘৯৯৯-এ ফোন করে বা পুলিশকে ভিকটিম কোনো তথ্য দেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সংস্থাকে (র‍্যাব) তিনি ও তার স্বামী ফোনে তথ্য দিয়েছেন।

‘ভিকটিমকে যখন আশিক নিয়ে যান, সে সময় ভিকটিম তার একটা পারসোনাল কাজে সি টাউন হোটেলে অবস্থান করছিলেন। তার স্বামী অবস্থান করছিলেন অন্য একটি হোটেলে। ভিকটিমের তথ্য অনুযায়ী, তার স্বামীকে ফোন করে আশিক চাঁদা চেয়েছিলেন। চাঁদা না দেয়ায় আশিক তার ওয়াইফকে রেপ করার হুমকি দেন। এরপর তার স্বামী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সংস্থাকে ফোন দেন।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যটকদের হয়রানি নিয়ে যেসব অভিযোগ আসছে, তা সমাধানে আমরা কাজ করছি। নারীকে ধর্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে পর্যটনসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’

‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত আশিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন, ছিনতাই, ইয়াবা ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৬টি মামলা আছে। তার অন্যতম সহযোগী জয়ার বিরুদ্ধেও দুটি মামলা আছে। তারা মূলত কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তাদের গ্যাংয়ে অর্ধশতাধিক সদস্য রয়েছেন। তারা গ্রেপ্তারও হয়েছেন একাধিকবার।

এ বিভাগের আরো খবর