বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সবার অংশগ্রহণে ভোট জরুরি: রেহমান সোবহান

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:০৫

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা ও মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার মাধ্যমে আমরা একটি পতাকা পেয়েছি, কিন্তু মুক্তি এখনও পাইনি। মুক্তি পাওয়া যায়নি গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায়।’

বাজার অর্থনীতিতে বৈষম্য দূরের উদ্যোগের পাশাপাশি সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন আর নির্বাচনে সব পক্ষের সমান গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান।

শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে রেহমান সোবহান যুক্ত হন ভার্চুয়ালি। বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের এই সদস্য বলেন, ‘শুধু সংবিধানে গণতন্ত্র থাকলে হবে না। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।’

রেহমান সোবহান বলেন, স্বাধীনতা আর মুক্তি দুটি ভিন্ন বিষয়। যদিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুটি বিষয়কে এক করে দেশ মুক্তির আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা ও মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার মাধ্যমে আমরা একটি পতাকা পেয়েছি, কিন্তু মুক্তি এখনও পাইনি। মুক্তি পাওয়া যায়নি গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায়।

‘দেশের অবকাঠামো নানা উন্নয়ন হয়েছে। মানবসম্পদের উন্নয়ন হয়েছে। আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। আরও উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাতে গুরুত্ব দিতে হবে।’

‘উৎপাদন করে কৃষক কিছুই পাচ্ছেন না’

বাজার অর্থনীতিতে প্রচুর বৈষম্য তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন রেহমান সোবহান। তিনি মনে করেন, বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে না সাজালে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ‘দেশের ভূমি ব্যবস্থা ঠিক নেই। খাসজমিতে দরিদ্র মানুষের অধিকার থাকলেও সেসব বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর দখলে।

‘উৎপাদন করে কৃষক কিছুই পাচ্ছেন না। বিপরীতে যারা কিছুই করছে না তারা ভোগ করছে। বাজার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।’

আর্থিক খাতে অব্যবস্থাপনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনা সার্বিক অর্থনীতিকে অকার্যকর করলেও কিছুসংখ্যক মানুষ সুবিধা নিয়েছে। এভাবে আর্থিক খাতের ভারসাম্য তৈরি হবে না। সিস্টেম বেইজ কাজ করতে হবে, তাহলে জনগণও এর সুযোগ-সুবিধা পাবে।‘

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সহসভাপতি এ জেড এম সালেহ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন আহমেদ।

অর্থনীতি সমিতির এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘মহামারি কোভিড-১৯-এর প্রভাব অভিঘাত ও মানব উন্নয়ন।’

অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চে অলিখিত ভাষণে স্পষ্ট করেছেন আমাদের স্বাধীনতা হবে, কিন্তু মুক্তি এত সোজা না।’

প্রতি বছর জাতীয় বাজেটের আগে অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট দেয়ার বিষয়য়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যে বাজেট দিয়ে থাকে, সমিতির পক্ষ থেকে দুই-তিন গুণ বেশি বড় বাজেট উপস্থাপন করা হয়।

‘সরকার ১০ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে থাকে। কেন সেটি ২০ লাখ, ৩০ লাখ কোটি টাকার হবে না। টাকা সম্পর্কে যারা জানেন, তারা জানেন টাকা কোনো সমস্যা না। কেন দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য শতভাগ রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে না?’

খাসজমি বিষয়ে বারকাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন মুক্তির কথা বলেছিলেন, তখন খাসজমি গরিবদের দিয়ে ৬৫ হাজার গ্রামে বহুমুখী বাধ্যতামূলক সমবায়ের কথা বলেছিলেন। এ কথা বলার পর বঙ্গবন্ধু এক বছরের বেশি সময় বাঁচেননি। কারণ জমি চলে যাবে। তখন আওয়ামী লীগ নেতারাই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন।’

এই সম্মেলনে ৮৪টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। সারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার অর্থনীতিবিদ এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর