বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কোপানোর পর কাটা হয় পায়ের রগ’

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৫২

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা ও কর্মীর রগ কেটে দেয়ার ঘটনা শুনেছি। তবে এই ঘটনায় কোনো প্রার্থী আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। যদি পাই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন কেন্দ্র করে ভোলার সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে রাজাপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থীর নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থকের পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষে দুই পক্ষের আহত কয়েকজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে ওই দুই ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নিউজবাংলাকে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলা সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) মো. আরমান হোসেন বলেন, ‘ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।’

পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নাম গিয়াস উদ্দিন। তার মেয়ে জান্নাত বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বাবা নির্বাচনি প্রচার চালাতে গেলে নৌকার প্রার্থী জহিরের সমর্থকরা বাধা দেয়। পরে বাবা বাড়িতে ফিরলে তারাও আমাদের বাড়িতে আসে। এক পর্যায়ে জহিরের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এবং বাবার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।

‘তাদের বাঁচাতে গেলে বাবার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। পরিবারের বাকি সদস্যদের ওপরও হামলা হয়েছে। এখন পরিবারের ১৫ সদস্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। যারা আমার বাবার ওপর হামলা করছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি। তারা তাদের লোকজন দিয়ে আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। আমার কর্মীদের আহত করেছে।’

অন্যদিকে রাজাপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীর এক সমর্থকের পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী বলেন, ‘সকালে আমার কর্মী গিয়াস উদ্দিন জনতা বাজারে ফার্মেসিতে বসে ছিল। ছালাম হাওলাদার নামের আরেকজন বসা ছিল একটি চায়ের দোকানে। এ সময় নৌকার প্রার্থী মো. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে তার কর্মী নাছির সরদার, আলতু ফরাজী, ডিস জামাল, ইকবাল চকিদারসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

‘হামলাকারীরা গিয়াস উদ্দিন ও ছালামকে কুপিয়ে জখম করে। পরে গিয়াস উদ্দিনের পায়ের রগ কেটে দেয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গিয়াসের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

অভিযোগ মানতে নারাজ নৌকার প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘হামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সকাল থেকেই নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম।’

নিউজবাংলাকে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা ও কর্মীর রগ কেটে দেয়ার ঘটনা শুনেছি। তবে এই ঘটনায় কোনো প্রার্থী আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। যদি পাই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর