ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল দফায় দফায় বন্ধ রাখায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো যানবাহন।
দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের অন্যতম এ রুটে। ঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে দুই দিন ধরে ধাপে ধাপে ফেরি বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পাড়ে য়ায়। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ে।
বিকেলে ঘাট এলাকায় দেখা গেছে হাজারখানেক যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ১৬ ফেরির মধ্যে ১৪টি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য দুটি ফেরি পাটুরিয়ায় ভাসমান কারখানায় মেরামতে রয়েছে।
বেলা ১টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এবং আশপাশের এলাকার প্রতিটি সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
রাজবাড়ীর আসাদুল্লাহ বলেন, ‘ভোরে প্রাইভেট কার নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছে ৯ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির টিকিট পাইছি।’ফরিদপুরের সেফালী বেগম বলেন, ‘জরুরি কাজে গ্রামের বাড়িতে যেতে হচ্ছে। ঘাটে এসে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছি। বেশি দেরি হলে কাজটা হবে না। আবার আগামী সাপ্তাহে ফিরতে হবে।’
ট্রাকচালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘাটে আটকা পড়েছি। বাস আর প্রাইভেট কার পারাপারের কারণে আমরা পার হইতে পারতাছি না। এখনও অপেক্ষায় আছি।’
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ছুটির দিনে এমনিতেই একটু চাপ বাড়ে। মাঝে মাঝে ফেরি বন্ধের জন্য এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বাস ও জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। এরপর সিরিয়াল অনুযায়ী বাকি যানবাহন পার করা হবে।