বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত হোন: নুর

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:৪১

‘দেশে নৈরাজ্য চলছে, সেই নৈরাজ্যের সহজ কোনো পরিত্রাণ নেই বাস্তব কথা। রাজপথে রক্ত দেয়া ছাড়া, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিত্রাণ নেই। এরা সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এরা জোর করে ক্ষমতায় আছে। কাজেই আমরা যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে আমাদের রাজপথে রক্ত দেয়ার জন্য নামতে হবে।’

শিগগির রাষ্ট্রক্ষমতায় পরিবর্তন আসবে- এমন বক্তব্য দেয়ার চার দিনের মাথায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত হতে নেতাকর্মী, সমর্থকসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুব অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি মনে করেন, দেশের যে পরিস্থিতি, তাতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এর পরিত্রাণ হবে না।

বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি ও বিমানের টিকিটের মূল্য কমানোর দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন নুর। এর আয়োজক গণ অধিকার পরিষদ।

দেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে নুর বলেন, গণতন্ত্র না থাকায় সুশাসন নেই। আর গণতন্ত্র ফেরাতে সবাইকে একজোট হয়ে নামতে হবে।

তিনি বলেন, ‌‘জনগণ যদি জেগে না ওঠে, জনগণ যদি রাস্তায় নেমে না আসে, জনগণ যদি সম্পৃক্ত না হয়, তাহলে খুব বেশি লাভ নেই।

‘আমাদের কথা বলতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। যে যেখানে আছেন, সেখান থেকে প্রতিবাদ করতে হবে। অন্যথায় সম্ভব হবে না।’

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি রক্তক্ষয়ী হবে, সেটিও আগেভাগেই জানিয়ে রাখলেন নুর। বলেন, ‘দেশে নৈরাজ্য চলছে, সেই নৈরাজ্যের সহজ কোনো পরিত্রাণ নেই বাস্তব কথা। রাজপথে রক্ত দেয়া ছাড়া, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিত্রাণ নেই।

‌‘এরা সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এরা জোর করে ক্ষমতায় আছে। কাজেই আমরা যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে আমাদের রাজপথে রক্ত দেয়ার জন্য নামতে হবে।’

গত ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশে নুর দাবি করেন, শিগগির দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় পরিবর্তন আসবে।

চার দিন পরের এই কর্মসূচিতে ডাকসুর সাবেক ভিপি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের ৫০ বছরে কোনো পাঁচ বছরেও নাগরিকরা তাদের মর্যাদা নিয়ে নির্ভয়ে বেঁচে থাকতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘লুটেরা, দুর্বৃত্তদের হাতে এ দেশের ক্ষমতা ঘুরপাক খেয়েছে।’

হাসপাতাল, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে কোথাও নাগরিক সেবা নেই অভিযোগ করে নুর বলেন, ‘সুশাসন ছাড়া এই নৈরাজ্য বন্ধ করা সম্ভব হবে না। সুশাসন না থাকার ফলেই আজ নৈরাজ্য হচ্ছে। সুশাসন থাকবে কীভাবে? গণতন্ত্র না থাকলে সুশাসন আসবে কোথা থেকে?

‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের যে বিধিব্যবস্থা ছিল, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। এরা যতদিন থাকবে, ততদিন ছাত্র, শিক্ষক, প্রবাসী, কেউ রেহাই পাবে না। এটা আমাদের অস্তিত্বের জায়গায় এসে ঠেকেছে, সবাইকে যার যার জায়গা থেকে নামতে হবে।’

‘রাজনীতির নামে ফকিন্নির পুত কোটিপতি হয়েছে’

দেশে রাজনীতির নামে অপরাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে বলেও মনে করেন নুর। বলেন, ‌‘ফকিন্নির পুলা রাজনীতি করে কোটিপতি হয়েছে। রাস্তার চাঁদাবাজ, ফুটপাতের দোকানদার রাজনীতি করে আজ। ঢাকা শহর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে; খুন-খারাবি, চাঁদাবাজি দুর্নীতি করেছে।’

কক্সবাজার ‘ধর্ষণে’ ছাত্রলীগ নেতারা

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে দল বেঁধে ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে, তা ছাত্রলীগ নেতারা ঘটিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন নুর।

বলেন, ‘কক্সবাজার হলো সুরক্ষিত ট্যুরিস্ট এলাকা, সেখান থেকে নারীকে হোটেল থেকে তুলে নিয়ে যায়। সামনে থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে। কারা করেছে, ছাত্রলীগের নেতারা।

‘ঠাকুরগাঁওয়ে দশম শ্রেণির একটা ছাত্রকে হত্যা করেছে পরশু দিন। কী লজ্জা! সেই লজ্জার প্রতিবাদকারীদের পুলিশ বাধা দিয়েছে।

‘জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছাত্রদলের এক নেতাকে ছাত্রলীগের এক নেতা দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। এটা কেবল বিরোধী দলের মানুষের ওপর চলছে, এটা না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা বিরোধী প্রার্থীদের হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।’

প্রবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবে ৭ দিন সময়

বিমানবন্দরে যে দুর্ভোগ চলছে, তা লাঘবের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থাগুলো টিকিটের যে বাড়তি মূল্য নিচ্ছে, তা কমাতে সাত দিন সময় বেঁধে দেন নুর।

তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্য যদি বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা না হয়, বিমানের টিকিটের মূল্য যদি পুনর্বিবেচনা করা না হয়, আমরা করোনার সময় যেমন ৩৮৩ জনের মুক্তির দাবিতে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেছি, আজকে যে জনসংখ্যা আছি, তার চেয়ে কয়েক গুণ নিয়ে আমরা আবার প্রয়োজনে ওই মন্ত্রণালয় ঘেরাও করব।

‘কারণ যারা জনগণের জন্য কাজ করবে না, তাদের দায়িত্ব পালন করবে না, তাদের ওই চেয়ারে থাকার অধিকার নেই। প্রয়োজনে টেনে-হিঁচড়ে তাদের চেয়ার থেকে নামিয়ে দেব।’

এ বিভাগের আরো খবর