ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ও আহত যাত্রীদের রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সংবাদমাধ্যমে শুক্রবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
তার দাবি, লঞ্চে আগুনে দগ্ধ যাত্রীদের জীবন বাচাঁতে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনতে হবে। পাশাপাশি দগ্ধ ও আহত যাত্রীদের রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। দগ্ধ হয়ে মৃত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে যাত্রীসাধারণের অর্থে গঠিত নৌ-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে নৌ নিরাপত্তায় দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।
ঝালকাঠির পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. রায়হান নিউজবাংলাকে জানান, রাত ৩টা ২৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস খবর পায়। ৩টা ৫০ মিনিটে ১৫টি ইউনিট আগুন নেভানো শুরু করে। সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
লঞ্চের যাত্রী সোলাইমান আকন বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দে লঞ্চে আগুন ধরে যায়। লঞ্চের পেছনের অংশ থেকে তৃতীয় তলার সামনে পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’সাইদুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই লঞ্চ থেকে নদীতে লাফ দেন।
এই লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানান কেবিন বয় ইয়াসিন। তিনি বলেন, ‘ওপরে থাকা বেশির ভাগ যাত্রী নদীতে লাফ দিয়েছে। যারা ঘুমিয়ে ছিল তারা সবাই মারা গেছে।’
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক জানান, ৭০ জনের বেশি দগ্ধ যাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।