ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পুড়ে যাওয়া লঞ্চের ফিটনেস ঠিক ছিল বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লঞ্চের দগ্ধ যাত্রীদের দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হিসাবমতে লঞ্চে ৩৫০-এর মতো যাত্রী ছিল। এর বেশি থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে। তা ছাড়া লঞ্চের ফিটনেস ঠিক ছিল বলে জানতে পেরেছি। আগুনের ঘটনা তদন্তে মন্ত্রণালয় থেকে কমিটি করা হয়েছে।
‘এখানে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা এখনই বলতে পারছি না। লঞ্চের ব্যবসা কারা করে আপনারা সবাই জানেন। শেখ হাসিনার পরিবার লঞ্চের ব্যবসা করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনায় মৃত সবার পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়া হবে।’
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা দগ্ধদের দেখতে যান।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ৩৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুকে ঢাকায় নেয়ার পথে মৃত্যু হয়। বাকিদের মরদেহ লঞ্চ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কেবিন বয় ইয়াসিন জানান, লঞ্চের নিচতলার পেছনে ইঞ্জিন রুমের পাশের ক্যান্টিনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে প্রথমে ইঞ্জিন রুমে ও তারপর পুরো লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনের ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি কমিটি করা হয়েছে।