বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের সুবিধা বাড়াতে হবে: শাজাহান খান

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:০৭

শাজাহান খান বলেন, ‘শুধু গাড়ির ড্রাইভারদের ওপরে আইন প্রয়োগ করে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। দুর্ঘটনা কমানোর জন্য জনসচেতনতা দরকার। রাস্তা দিয়ে পারাপারের সময় মোবাইলে কথা না বলা, যেখানে-সেখানে পারাপার না হওয়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।’

সড়ক দুর্ঘটনার জন্য এককভাবে চালকরা দায়ী নয় দাবি করে তাদের আধুনিক সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান।

সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, জনসচেতনতার পাশাপাশি ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ ও আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা দিলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার আকাশ, সড়ক, রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনার সংখ্যা, কারণ ও প্রতিকার শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহাজান খান।

সভার আয়োজন করে সেভ দ্য রোড নামের একতটি সংগঠন।

শাজাহান খান বলেন, ‘শুধু গাড়ির ড্রাইভারদের উপরে আইন প্রয়োগ করে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। দুর্ঘটনা কমানোর জন্য জনসচেতনতা দরকার। রাস্তা দিয়ে পারাপারের সময় মোবাইলে কথা না বলা, যেখানে সেখানে পারাপার না হওয়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকরা দায়ী নয়। রাস্তার মাঝখান দিয়ে মোবাইল কথা বলতে বলতে হেঁটে যাবেন, একটা গাড়ি হঠাৎ করে এসে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ড্রাইভারের দোষ, এ বিষয়গুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

সাবেক নৌমন্ত্রী বলেন, ‘ড্রাইভারদের জন্য যে সুযোগ-সুবিধা দরকার সেগুলো না দিয়ে যদি বলি বেপরোয়া গাড়ির জন্য দুর্ঘটনা হয়, এজন্য ড্রাইভার দায়ী। আমি অস্বীকার করব না যে, ড্রাইভাররা বেপরোয়া গাড়ি চালায় না। কিন্তু এজন্য ড্রাইভারদের এককভাবে দায়ী করা যাবে না।

‘ড্রাইভারদের ট্রেনিংসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা দিলেই দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে। তবে এমন যদি কেউ মনে করে, সড়ক দুর্ঘটনায় এক্কেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে আসব, তা অসম্ভব। পৃথিবীতে কোনো দেশ নাই যেখানে সড়ক দুর্ঘটনা হয় না। যেসব দেশে সর্বনিম্ন দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানেও বছরে দুই থেকে আড়াই পার্সেন্ট দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।’

এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনাসহ উত্তরবঙ্গের ঢাকাগামী ট্রাক ও লং রোডে যেসব ট্রাক চলাচল করে, তাদের চালকদের দিনের পর দিন রাস্তায় থাকতে হয়। তাদের বিশ্রামের জায়গা নেই, খাওয়ার জায়গা নেই, থাকার জায়গা নেই।

‘এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যাধুনিক চারটি টার্মিনাল নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেসব টার্মিনালে ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য সকল সুযোগ-সুবিধাও থাকবে। আমি মনে করি, অবশ্যই এর ফল কয়েকবছর পর পাওয়া যাবে। আগে আমাদের দাবি ছিল হাইওয়ে রোডগুলো ফোর লেন ও সিক্স লেনের, এখন কিন্তু তা হচ্ছে।’

সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনামের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য রোডের প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা।

এ বিভাগের আরো খবর