ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনে দগ্ধ ৭০ জনকে নেয়া হয়েছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, তবে এই হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বন্ধ গত বছরের মার্চ থেকে। এতে দগ্ধরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
দগ্ধ আলামিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন তার স্বজন জলিল উদ্দিন। তিনি বলেন, কোনো রকম মলম দিয়ে চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকও নেই এখানে।
হাসপাতালের নার্স রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, বার্ন ইউনিটটি বন্ধ থাকায় রোগীদের সার্জারি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখানে মেঝেতে সেবা নিচ্ছেন অনেকে। হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ায় কাউকে কাউকে রাখা হয়েছে সিঁড়িতে।
সিনিয়র স্টাফ নার্স মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দগ্ধ আট শিশুসহ ৭০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।
২০১৫ সালের ১২ মার্চ হাসপাতালের নিচতলায় আটটি শয্যা নিয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ চালু হয়েছিল। বিভাগে আটজন চিকিৎসক ও ১৬ জন নার্সের পদ রাখা হয়।
পরে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিটটি ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। চালু থাকা পাঁচ বছরে পাঁচ হাজারেরও বেশি রোগী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত বছরের এপ্রিল মাসে হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান এম এ আজাদের মৃত্যুর পর থেকেই অচল হয়ে পড়ে বার্ন ইউনিটটি।
সর্বশেষ ওই বছরের ১৫ মে ইউনিটটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, অগ্নিদগ্ধদের সার্জারি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
ঝালকাঠির পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর একে একে লঞ্চ থেকে উদ্ধার হয় ৩৭ জনের মরদেহ।