এইচএসসি পরীক্ষার ১৪তম দিনে দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডে প্রায় ৪ হাজার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকালের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৩ হাজার ৯৩৬ জন। বিকেলের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৪ জন।
বৃহস্পতিবার সকালে হয় ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা। এতে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে অনুপস্থিত থাকে ৮৫৭ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৩জন, রাজশাহী বোর্ডে ১৩৫৯ জন, বরিশাল বোর্ডে ৯৯ জন, সিলেট বোর্ডে ৯ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৪৭৮জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৫৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৬৩জন এবং যশোর বোর্ডে ৯০১ জন।
বিকেলে হয় আরবি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা। এতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে অনুপস্থিত থাকে ৩ জন, বরিশাল বোর্ডে ১ জন।
সাধারণত প্রতি বছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫২ জন।সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন।মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমের জন্য নিবন্ধন করে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬১ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৫১ হাজার ৪০৬ জন।
এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৭ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৪২ জন।
সব মিলিয়ে দেশে ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।