করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবারও বই উৎসব হচ্ছে না। তবে রীতি অনুযায়ী আগামী বছরে পাঠ্যবই দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে নির্দিষ্ট সময়েই।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিয়ে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম’ উদ্বোধন করবেন। আর ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদার সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। তাতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম (ভার্চুয়াল) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব নাজমা আখতারের সই করা অফিস আদেশে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই তুলে দেয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে তিন শিক্ষার্থীর তালিকা চাওয়া হয়।
পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য মাধ্যমিক স্তরের নবম শ্রেণি বাদে প্রতি শ্রেণির একজন করে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম শ্রেণির মোট তিন শিক্ষার্থীর ছবি, মোবাইল নম্বরসহ নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মাতুয়াইলে প্রেসে গিয়ে বই ছাপানো পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে এবারও বই উৎসব হবে না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল থেকে ভাগে ভাগে বই বিতরণ করা হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ ভাগ বই স্কুলগুলোতে পৌঁছে যাবে।
‘বাকি পাঁচ ভাগ স্কুলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের ভেতর বই পৌঁছাবে।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত প্রাথমিকের প্রায় সব বই জেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। মাধ্যমিকের ২১ কোটি বই বাঁধাই হয়ে গেছে। বাকি ১৭ কোটির বেশি বই সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সব বই বাঁধাই কাজ শেষ হবে। তারপর স্কুল পর্যায়ে তা পাঠিয়ে দেয়া হবে।