লক্ষ্মীপুর সদরের হাজিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হামলা-ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল আলম বাবুলের বাড়িতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল মোরছালিনের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়নের কাজী কালায়েতপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে বুধবার রাতে ইউনিয়নের রতনেরখিল এলাকায় নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুরে অভিযোগ করেছেন নেতাকর্মীরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল বলেন, ‘বাড়িতে নৌকার সমর্থকদের হামলায় ছোট বোন লিলি আক্তার, মেয়ে ববি পাটওয়ারী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শিল্পী আক্তার ও গৃহপরিচারিকা আয়েশাসহ পাঁচজন আহত হয়েছে।’
নৌকার কর্মী-সমর্থকরা জানান, রাতে নির্বাচনি কাজ শেষে অফিস বন্ধ করে কর্মীরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা অফিসে ভাঙচুর চালায়।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্পে হামলার অভিযোগ করেন নুরুল মোরছালিন।
বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুল বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর ইন্ধনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে।’
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোলাম ফারুক পিংকুর নেতৃত্বে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাবুল জানান, এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও ফল মেলেনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘দলীয় গঠনতন্ত্র অমান্য করে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সামছুল আলম বাবুলকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হামলার ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই আমি ও নেতাকর্মীরা জড়িত নয়। উল্টো নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক জানান, হামলার ঘটনা সত্য নয়। নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনি পরিবেশ ভালো।