বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট জার্নি কল্পনার বিষয় নয়: অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৫৯

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট জার্নি কোনো কল্পনার বিষয় নয়। হঠাৎ করেও এই অবস্থায় আসার বিষয় নয়। আমি মনে করি, এই জার্নিতে প্রত্যেকের অবদান আছে।’

বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা কোনো কল্পনার বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট জার্নি কোনো কল্পনার বিষয় নয়। হঠাৎ করেও এই অবস্থায় আসার বিষয় নয়। আমি মনে করি, এই জার্নিতে প্রত্যেকের অবদান আছে।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার ২০২০ প্রদান’ অনুষ্ঠানে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এদিন রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের হাতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার ২০২০’ তুলে দেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা এবং এতে মৌলিক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে এবার এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত এ সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন গভর্নর ফজলে কবির। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্তরের শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবিরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার আজীবন স্বপ্ন ছিল, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। সেই মুক্তি আমরা এখনও লাভ করতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন জাতির পিতা। যেখানে ড. ওয়াহেদ উদ্দিন মাহমুদও সম্পৃক্ত ছিলেন। সেখানে তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন এবং আমাদের জন্য নির্দেশনা রেখে গেছেন কীভাবে পরিকল্পনাটি করতে হবে, কীভাবে এগোতে হবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এগোচ্ছি। সবাইকে নিয়ে এগোচ্ছি। জাতির পিতা যেখান থেকে রেখে গিয়েছেন, জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেখান থেকেই এগোচ্ছি আমরা। তিনি দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলছেন। জাতির পিতার সেই সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের এই ডেভেলপমেন্ট জার্নিতে আপনারা সবাই অবদান রেখে চলেছেন।’

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার-২০২০’ বিজয়ী ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের জীবনাচার নিয়েও কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ছাত্র জীবনে একজন অসাধারণ প্রতিভাবান ছাত্র ছিলেন ড. মাহমুদ। আর ব্যক্তিজীবনে হলেন একজন আলোকিত মানুষ। তিনি দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। আমাদের অর্থনীতি আজকে যে অবস্থায় এসেছে, আমি মনে করি, সেখানে পৌঁছাতে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদেরও অপরিসীম অবদান রয়েছে। তিনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল একজন চেতনাময় ব্যক্তিত্ব, যাকে পুরস্কার দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

এ সময় পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। তাতে কখনও তিক্ততা হয়নি বরং ঐক্যমতের ভিত্তিতেই আমরা কাজ করেছি। আমার সৌভাগ্য এই যে, আমি আজ ড. মাহমুদের পাশে বসে তার সম্পর্কে বলছি।’

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে তার শিক্ষা, গবেষণা, কাজ, অর্থনীতিতে অবদান, নীতি প্রণয়নসহ নানা বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। বর্তমানে তিনি ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারম্যান।

এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ এই সম্মাননা দিয়েছে। সেবার মৌলিক অর্থনীতি বিষয়ে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার-২০১৭’ যৌথভাবে দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইডের ইমেরিটাস অধ্যাপক আজিজুর রহমান খান এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ব্র্যাকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেনকে (মরণোত্তর)।

আজিজুর রহমান খান স্বাধীনতার পর পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

২০০০ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার পান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। এরপর ২০০৯ সালে অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, ২০১১ সালে অধ্যাপক মুশাররফ হোসেন, ২০১৩ সালে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ (মরণোত্তর) ও স্বদেশ রঞ্জন বোসকে (মরণোত্তর) বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার দেয়া হয়।

অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে এসএসসি এবং ১৯৬৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।

১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে সম্মান ডিগ্রি নেন। ১৯৭৭ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ১৯৬৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর