সিরাজগঞ্জে শহরে পারিবারিক কলহের জেরে মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে নাহিদ ইমরান নিয়নকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
হত্যার ১০ মাসের মাথায় গাজীপুর থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাকে নৃশংসভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নাহিদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে সিরাজগঞ্জের আমলি আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শ্যামল কুমার দত্ত নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে সিরাজগঞ্জ শহরে নিজ বাড়িতে রাশিদা খানমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। শহরের মুজিব সড়কে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কাছে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
৬৫ বছর বয়সী রাশিদা প্রয়াত বীর মুক্তিযােদ্ধা গাজী তােজাম্মেল হকের স্ত্রী।
এ ঘটনায় পরে রাশিদার ছােট ছেলে নাছিম ইমরান নিশাত সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের জন্য জেলা গােয়েন্দা শাখাকে দায়িত্ব দেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসিবুল আলম।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, ‘এক বছর আট মাস মুলতবি থাকা মামলাটি স্থানান্তর করে আমাকে দেয়া হয়। আমি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চালাই। একপর্যায়ে আমাদের একটি চৌকস দল বুধবার রাতে গাজীপুর থেকে মামলার আসামি নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
‘হত্যার শিকার রাশিদার বড় ছেলে নাহিদ। ৩৬ বছর বয়সী নাহিদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার মাকে নৃশংসভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।’
সিরাজগঞ্জের এসপি হাসিবুল আলম জানান, মামলার আসামি শনাক্ত করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এই মামলা সূক্ষ্মভাবে পরিচালনার জন্য ছয়বার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। অবশেষে গোয়েন্দা অফিসাররা মূল আসামিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হন।