বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নগর পরিবহনের’ বাসে ঢাকায় শৃঙ্খলা ফিরবে কতটা?

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:৫১

ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নগর পরিবহনে থাকবে সুশৃঙ্খল, সমন্বিত ও উন্নত ই-টিকিটিং যাত্রীসেবা। নির্দিষ্ট স্টপেজের বাইরে যাত্রী ওঠা-নামার সুযোগ নেই। সেবার গাড়িগুলো সব নতুন। নির্ধারিত বিন্যাসের বাইরে আসন বাড়ানো হবে না। পরিবহনগুলোর পারস্পরিক কোনো প্রতিযোগিতা থাকবে না।’

জল্পনা-কল্পনা শেষে অবশেষে ঢাকা নগর পরিবহন সেবা চালু হচ্ছে ২৬ ডিসেম্বর, রোববার। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে মতিঝিল হয়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত যাবে এই পরিবহনের বাস।

প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এই সেবা চালু হলে নগরকেন্দ্রিক পরিবহনগুলোর মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা কমবে। সুরক্ষিত থাকবে যাত্রীনিরাপত্তা। এখন প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ফারাক বুঝতে কয়েক দিনের অপেক্ষা।

ঘাটারচর-কাঁচপুর রুট ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রাপথের স্টেশনগুলোতে নতুন যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। কয়েকটির কাজ বাকি থাকলেও সেগুলো ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। এসব যাত্রীছাউনির বাইরে কোনো বাস থামবে না।

বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক এই রুটে ১০০ বাস চলবে। ২৬ ডিসেম্বর ৫০টি বাস দিয়ে সূচনা করা হবে এই সেবা। বাকি ৫০টি বাসের কার্যক্রম পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে পূরণ করে এই যাত্রাপথ বাস্তবায়ন করবে সিটি করপোরেশন।

নগর পরিবহনে চলবে এমন বাস।

এই পরিবহন সেবায় যুক্ত হতে আটটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে বিআরটিসিসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। এই রুটে চলাচল করা প্রতিটি বাস ও চালকের রেজিস্ট্রেশন এবং রুট পারমিট থাকবে।

কী সুবিধা পাবে নগরবাসী

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমান পরিবহন সেবা ও নগর পরিবহন সেবার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিশেষত, নগর পরিবহন সেবা সুশৃঙ্খল, সমন্বিত ও উন্নত যাত্রীসেবা। ই-টিকিটিং সেবার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট স্টপেজ থেকে যাত্রীরা উঠবেন এবং নামবেন। স্টপেজের বাইরে যাত্রী ওঠা-নামার সুযোগ নেই।

‘এই সেবার গাড়িগুলো সব নতুন। যে আসন বিন্যাস দেখিয়ে বিআরটিএ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে, গাড়িতে সেই আসন বিন্যাস নির্ধারিত থাকবে। নির্ধারিত বিন্যাসের বাইরে আসন বাড়ানো হবে না।’

আবু নাসের বলেন, ‘এই সেবার বড় সুবিধাটা হলো, পরিবহনগুলোতে কোনো প্রতিযোগিতা থাকবে না। সবাই সুশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চালাবে। কারণ একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির মাধ্যমে এই সেবা দেয়া হবে। এ কারণে গাড়িগুলোর পরস্পর প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ বা প্রয়োজন হবে না।

‘যত সিট তত যাত্রী উঠবে। ২০২২ সালের মধ্যে পুরো ঢাকা সিটিতে আমরা একটি সুশৃঙ্খল গণপরিবহন সেবা দিতে পারব আশা করছি।’

যাত্রী নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে বাসগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা ঢাকার রাস্তার নিত্যদিনের চিত্র। ফাইল ছবি

দুই মেয়র যা বললেন

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘যে যাত্রীছাউনি, অবকাঠামো ও বাস-বে নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলো আমরা পরিদর্শন করেছি। নতুন নকশায় নান্দনিক এই যাত্রীছাউনি নির্মাণ করেছি। আমরা আশাবাদী, আগামী ২৬ ডিসেম্বর এই যাত্রাপথ সূচনার মাধ্যমে ঢাকা শহরের পুরো গণপরিবহনে একটি শৃঙ্খলা ফিরে আসা শুরু করবে। আর ২০২২ সালের মধ্যে এর পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে ঢাকাবাসী এর যথাযথ সুফল পাবে।’

নগর পরিবহন সেবায় ই-টিকিটিং থাকবে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ রুটের প্রতিটি বাসের রেজিস্ট্রেশন থাকবে, রুট পারমিট থাকবে এবং ড্রাইভারের লাইসেন্স থাকবে। ড্রাইভারদের সবুজ রঙের পোশাক থাকবে এবং তারা আইডি কার্ড বহন করবেন। এই সেবা হবে ই-টিকিটিং। আর বাসভাড়া আগে নির্ধারণ করা ২টাকা ১৫ পয়সা হারেই আদায় করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর