বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্যটককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, মামলার আসামি ৭

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:৫০

এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন আশিক, জয়, বাবু ও ছোটন। তাদের মধ্যে ছোটন জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

মামলায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন আশিক, জয়, বাবু ও ছোটন। তাদের মধ্যে ছোটন জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার।

পুলিশ জানায়, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে বুধবার সকালে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান ওই নারী। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে।

বিকেলে তারা যান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যান।

এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেন তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তারা তাকে ধর্ষণ করেন।

এর পর তারা ওই নারীকে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে তারা ইয়াবা সেবনের পর তাকে আবার ধর্ষণ করেন। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে তারা চলে যান।

জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার ছোটন। ছবি: নিউজবাংলা

জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলায় এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলেন ওই নারী। তারপর ফোন দেন ৯৯৯-এ। ওই নারীর অভিযোগ, তাৎক্ষণিক তাকে সাহায্যে এগিয়ে আসেনি পুলিশ। পরে তিনি র‍্যাবকে অভিযোগ জানান। পরে র‍্যাব তাকে ও তার স্বামী সন্তানকে উদ্ধার করে।

হোটেলের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় দুজনকে শনাক্ত করার কথা জানায় র‍্যাব।

র‍্যাবের ভাষ্য, ওই দুই যুবক হলেন কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম ও ইসরাফিল হুদা জয়া। আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

র‍্যাব জানিয়েছে, আশিক চার মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি ছিনতাই, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার এক কর্মকর্তা জানান, গত বছর আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে সবকিছু ছিনিয়ে নেন। এই মামলায় তিনি জেলে ছিলেন। চার মাস আগে জেল থেকে বের হওয়ার পর তাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা যায়।

এ বিভাগের আরো খবর