সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় লিটন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় ২০০ মোটরসাইকেল, ৩০টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস, ২০-৩০টি অটোরিকশা নিয়ে প্রচার চালান নৌকার প্রার্থী সাইদুর রহমান সুজন।
‘ওই সময় দুটি পিকআপ ভ্যানে ব্যান্ডপার্টির সদস্যরা বাদ্য বাজাচ্ছিলেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে নিজ বাড়ি কাকাবো এলাকায় তেহারি রান্না করে প্রায় দুই হাজার মানুষকে খাওয়ান সুজন।’
বিরুলিয়ার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মিরপুর-বিরুলিয়া সড়কে কয়েকশ’ মোটরসাইকেল ও গাড়িঘোড়া নিয়ে শোডাউন করেন নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান। এ সময় পুরো সড়কে দীর্ঘ সময় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
‘সাধারণ মানুষ চলাচল করতে গিয়েও বিপাকে পড়েন। নির্বাচনি প্রচারের নামে এটা শুধু সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া কিছুই না।’
নুরুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘দুর্ভোগ কমাতে ও প্রত্যাশা পূরণে ভোট প্রদানের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে সাধারণ মানুষ। কিন্তু নির্বাচনি প্রচারের মাধ্যমেই যদি প্রার্থী মানুষের ভোগান্তি ও দুর্ভোগে ফেলেন তাহলে এটা দুঃখজনক।’বিরুলিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহসিন মন্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী নির্বাচনি আচরণবিধি মানছেন না। গাড়িবহর দিয়ে এলাকায় ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে প্রচারের নামে এসব করছেন। এতে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আমরা শঙ্কিত। নির্বাচন পরিচালনাকারীদের প্রতি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী সাইদুর রহমান সুজনকে অনেকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। নিউজবাংলার পরিচয় জানিয়ে তাকে এসএমএস পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।
সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফখর উদ্দীন শিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মোটরসাইকেল, গাড়ি ও ব্যান্ডপার্টি এসব নির্বাচনি প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না। আপনার কাছে পাওয়া ওই প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের ভিডিও ও ছবি আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দিয়ে দিচ্ছি। পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন বিষয় আমার জানা নেই। ওই প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের প্রমাণ আমাকে দ্রুত পাঠান। এ বিষয়ে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পঞ্চম ধাপে এই ইউপিতে ভোট হবে ৫ জানুয়ারি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন।