বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ক্ল্যাসিকাল হোমটেক্সের নামে মামলা

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:৩৬

বিক্রির প্রকৃত তথ্য গোপন করায় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় ২ শতাংশ হারে সুদ বাবদ ভ্যাট আসে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয় ৬ কোটি টাকা।

বিক্রয়মূল্যের তথ্য গোপন করে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর ইসলামপুরে ক্ল্যাসিকাল হোমটেক্স বিপণন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট গোয়েন্দারা।

অভিযানের পর বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন ভ্যাট নিরীক্ষা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ১৪১ কোটি টাকার বিক্রয়মূল্য গোপন করেছে। এতে প্রায় ৬ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

পুরান ঢাকার ইসলামপুর রোডের জাহাঙ্গীর টাওয়ারে ক্ল্যাসিকাল হোমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের মূল কার্যালয়। সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির ছয়টি শাখা রয়েছে। এরা মূলত বেডশিট, কম্ফোর্টার, কম্বল ও অন্যান্য হোম টেক্সটাইল সামগ্রী তৈরি ও বিক্রি করে থাকে।

আইন অনুযায়ী, পোশাকের ওপর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য। ক্ল্যাসিকাল হোমটেক্স ভুয়া চালান ইস্যু করে বিক্রির তথ্য গোপন করে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার ভ্যাট নিরীক্ষা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটিতে চালানো অভিযানের সময় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রির তথ্য গোপন করে ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের কোতোয়ালি বিভাগের আরমানিটোলা ভ্যাট সার্কেলে কম রাজস্ব পরিশোধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মাসিক রিটার্নে প্রকৃত বিক্রির তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

দেখা গেছে, সেবাদানের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির মূল্যতালিকা নেই। এ ছাড়া ভ্যাট চালান এবং সেবার বিপরীতে তারা তথ্য সংরক্ষণ করে না। ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২০০ কোটি ৬৭ লাখ ৮২ হাজার ৮২২ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। অথচ ভ্যাট অফিসে মাসিক রিটার্নে সর্বমোট ৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা বিক্রি দেখানো হয়।

রিটার্নে দেয়া তথ্য ও প্রকৃত বিক্রির পার্থক্য পাওয়া যায় প্রায় ১৪১ কোটি টাকা। বিক্রির প্রকৃত তথ্য গোপন করায় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় ২ শতাংশ হারে সুদ বাবদ ভ্যাট আসে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয় ৬ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর