অনলাইনে তারেক রহমানের উপস্থিতিতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে বড়দিনের কেক কেটেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।
এলবার্ট পি কস্টার সভাপতিত্বে ও সুব্রত রোজারির সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা গৌতম চক্রবর্তী, জন গোমেজ ও মার্সেল এম চিরান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে বড়দিনে যিশু খ্রিষ্টের এই জন্মদিনে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, অন্ধকারকে দূর করে আলো নিয়ে আসি এবং আমরা সবাইকে একটা কল্যাণময় রাষ্ট্র উপহার দিতে পারি এই প্রার্থনা করি।’
‘আমি আপনাদের দলের পক্ষ থেকে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাইকে নিয়ে আমরা একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তৈরি করেছিলাম। যে লক্ষ্যে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সেই লক্ষ্য আমাদের বাস্তবায়ন হয়নি। আজ দীর্ঘ ৫০ বছর পর আমরা দেখছি, আজকে এখানে মানবতা ভূলণ্ঠিত হচ্ছে, মানুষের অধিকার ভুলণ্ঠিত হচ্ছে, ভোটের অধিকার ভুলণ্ঠিত হচ্ছে, আমার কথা বলার স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়া হচ্ছে।’
ফখরুল বলেন, ‘এমনকি আমার ধর্ম পালন করার অধিকারকেও খর্ব করা হচ্ছে। যত সাম্প্রদায়িক দুর্ঘটনা এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ঘটেছে। অন্য কোনো সময়ে এমনটা ঘটেনি। আমাদের সবচেয়ে শান্তির জোট খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপরেও ঠিক একইভাবে অন্যায় করা হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি-উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়েছে, তাদের ধর্মযাজককে হত্যা করা হয়েছে। আজকে যেখানে গণতন্ত্র নেই, যেখানে মানুষের অধিকারকে হরণ করা হচ্ছে, আমাদের সংবিধানকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এ জন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঐক্য সৃষ্টি করা।’
এ সময় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ টুকু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কুমার সরকার।