অর্থাভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়া মেধাবী শিক্ষার্থী রঞ্জন রায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে নীলফামারী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের রঞ্জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিতে ভর্তির সুযোগ পান। তবে ফি দেয়ার টাকা না থাকায় তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
বিষয়টি পুনাকের কেন্দ্রীয় সভাপতি পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জা জানতে পেয়ে নীলফামারী শাখাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
জীশান মীর্জার নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রঞ্জনের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন পুনাক নীলফামারীর সভাপতি তাসমিয়া জান্নাত।
এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, কোর্ট ইন্সপেক্টর মোমিনুল ইসলাম মোমিন উপস্থিত ছিলেন।
পুনাক নীলফামারীর সভাপতি ও সরকারি ফলিত মানববিজ্ঞান কলেজের সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাত বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। একজন শিক্ষক হয়ে মেধাবী রঞ্জনের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়ে।
‘শিক্ষকতার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পাশে থাকার যে অভিজ্ঞতা রয়েছে সেগুলোর চেয়ে নীলফামারীর প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবী এই ছাত্রের বিষয়টি অন্যরকম। ঢাকায় তার যদি আরও প্রয়োজন হয়, সেগুলো সমাধানে আমি পাশে থাকব।’
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘রঞ্জনকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি পুনাকের কেন্দ্রীয় সভাপতি জীশান মীর্জার নজরে আসে। তার নির্দেশনা অনুসারে ছেলেটির ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দেয়া হয় পুনাক থেকে। ভবিষ্যতে তার পাশে থাকবে পুনাক।’
রঞ্জনের বাবা রমেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি ব্যাটাটার হাল ছাড়ি দিছিলাম। ঢাকায় আর ভর্তি হবার পায়ছে না বলে। এই আফা যে ব্যবস্থা করি দিল, মুই কোনো দিন ভুলিবার পাইম না।’
রমেশের দুই ছেলের মধ্যে রঞ্জন বড়। ছোট ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ে। দিনমজুরির আয়ে চলে তার সংসার।