দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিতে (পিটিএ) জোর দিয়েছে বাংলাদেশ।
ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সংযোগের উন্নয়নের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সলিহর সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেছি। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমরা এখনও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি দুই দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি এবং বিনিয়োগের পারস্পরিক সুবিধার জন্য দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর ফের জোর দিয়েছি।’
এর আগে মালদ্বীপের সঙ্গে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দ্বৈত কর, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানায় মালদ্বীপ।
রাজধানী মালেতে মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের জেটিতে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান দ্বীপদেশটির রাষ্ট্রপ্রধান ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।
ওই সময় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পারফরম্যান্স করে মালদ্বীপের স্কুলশিক্ষার্থীরা।
মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে ২১টি গান স্যালুট দেয় মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (এমএনডিএফ)। দেশটির সামরিক ব্যান্ড দল দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজায়।
গার্ড অব অনারের সময় মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমসহ সফরকারী দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভ্যর্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নেয়া হয় প্রেসিডেন্টের দপ্তরে। সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে সলিহর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন শেখ হাসিনা। দুজনের বৈঠক শেষে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেয় দুই দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধানসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
পরবর্তী সময়ে এমওইউ সইয়ের সময় উপস্থিত থেকে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।