অর্থ পাচার গুরুতর অপরাধ বলে মন্তব্য করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ। ক্যাসিনো-কাণ্ডে আটক ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের তৎকালীন সেক্রেটারি জয় গোপাল সরকারের জামিন বাতিল করে দেয়া আদেশে এমনটি বলেছে আদালত।
আদালতের এই আদেশ সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে, যা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
লিখিত আদেশে আদালত বলেছে, বর্তমান সময়ে অর্থ পাচার একটি গুরুতর অপরাধ (সিরিয়াস অফেন্স)।
জয় গোপালকে চার মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করে এবং এক বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়ে গত ২ নভেম্বর আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। এরপর লিখিত আদেশ প্রকাশ হয়।
গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ জয় গোপাল সরকারকে চার মামলায় জামিন দেয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। এরপর মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে যায়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ সেটি শুনে জামিন আদেশ বাতিল করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।
ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। জয় গোপালের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
মামলা থেকে জানা যায়, জয় গোপাল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন ফুটবলার ছিলেন। অবসরে গিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, পরে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক হন তিনি।
গত বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এরপর গেন্ডারিয়া থানায় মানিলন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জয় গোপালের নাম উঠে এলে ২০২০ সালের ১৩ জুলাই লালবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।