বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগ নেতা হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৮

নিহত আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল্লাহ রবির ছেলে জাহিদউল্লাহ বলেন, ‘আমার বাবা বিএনপির বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধা দিতেন। মূলত এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

ভৈরব উপজেলার রসুলপুর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৬০ বছর বয়সী গ্রেপ্তার কামাল মিয়ার বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর এলাকায়। তিনি মাইজচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

র‍্যাব-১৩-এর ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে রসুলপুর গ্রামে কামাল আত্মগোপনে আছেন এমন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বাজিতপুর থানায় পাঠানো হয়েছে।

রবির ছেলে জাহিদউল্লাহ ফুরকান জানান, ২০০৩ সালে তার বাবা ও বিএনপি নেতা কামাল মাইজচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন। দুজনই পরাজিত হলে তাদের মধ্যে রেষারেষি তৈরি হয়। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলেরা নানা কারণে তাকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিতেন।

রাজনৈতিক একটি মামলায় বাজিতপুর আদালতে হাজিরা দেয়ার জন্য ২০০৫ সালের ২৫ এপ্রিল বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে রওনা দেন। উপজেলা পশু হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে কামাল এবং এমপির দুই ছেলে মো. উজ্জ্বল ও মো. রুবেলসহ ১৩ থেকে ১৪ জন তার ওপর হামলা চালান। তারা প্রথমে রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে রবির হাত-পা ভেঙে দেন। এরপর চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যান।

স্থানীয়রা তাকে প্রথমে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখান থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ দিন পর তার মৃত্যু হয়।

ওই দিন রাতে রবির স্ত্রী পারভীন আক্তার কামালকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে বাজিতপুর থানায় মামলা করেন। ২০১৩ সালে আদালত এই মামলায় কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। বাকি ১২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

জাহিদউল্লাহ বলেন, ‘আমার বাবা বিএনপির বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধা দিতেন। মূলত এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর