ছুরিকাঘাতে ঠাকুরগাঁও বালক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসানকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার সহপাঠীরা।
জজকোর্ট চত্বরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানববন্ধন করে তারা। কর্মসূচিতে অংশ নেন নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনরাও।
সহপাঠী হত্যার বিচার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কয়েকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও ওঠে।
শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ঘটনাস্থলে যান ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন ভূঁইয়া। তিনি জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি শেষ করে।
এর আগে জিলা স্কুল থেকে জজকোর্ট চত্বর পর্যন্ত শোক র্যালি করেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। এতে অংশ নেয় প্রায় ৩০০ মানুষ।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী নাবিল হাসান বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মেহেদীকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত জড়িতদের আটক করে শাস্তি দিতে হবে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, জড়িতদের ধরতে পুলিশ তৎপর। আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শহরের বিসিক মোড়ে বুধবার সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় মেহেদী হাসানকে। এ সময় তার সঙ্গী মো. আরমানও আহত হয়। তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, ‘দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা মুখোশ পরা কয়েকজন ছুরি দিয়ে দুজনকে এলোপাতাড়ি কোপায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।’