করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী মার্চের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, এর আগ পর্যন্ত বর্তমানের মতোই আংশিক পাঠদান চলবে।
রাজধানীর মাতুয়াইলে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপানোর কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ পরিকল্পনার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘করোনার নতুন ভার্সন ওমিক্রন পরিস্থিতি আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মনিটরিং করা হবে। সেটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী মার্চের পর স্বাভাবিক শ্রেণি ক্লাসে পাঠদান শুরু করা হবে। এর আগ পর্যন্ত বর্তমান নিয়মে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হবে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। খুলে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।
তবে ক্লাস হচ্ছে সীমিত পরিসরে। প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না। শুধু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হচ্ছে। আর অন্যান্য শ্রেণির মধ্যে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণিতে দুই দিন এবং অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক দিন করে ক্লাসে যেতে হচ্ছে।
এরই মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। এই ধরন খুব ছোঁয়াচে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেশেও পাওয়া গেছে করোনার এই ধরনের আক্রান্ত রোগী। সরকার থেকে বলা হয়েছে, ওমিক্রনে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে ফের বন্ধ করে দেয়া হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীই। তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনের কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হতে পারে। তবে আমাদের এ জাতীয় কোনো পরিকল্পনা এখনও নেই। আমরা চাই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু থাকুক।’
মাতুয়াইলে বই ছাপানো পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার নতুন কারিকুলাম নিয়েও কথা বলেছেন দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘আগামী বছর থেকে প্রথম ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন কারিকুলাম পড়ানো পাইলটিং হিসেবে শুরু করা হবে। এ জন্য সারা দেশের ১০০টি স্কুলে এ কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি কমিয়ে ৬০টি নির্বাচন করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলাম পড়ানো হবে।
‘সকল শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কারিকুলাম পড়ানো সম্ভব নয়, এ কারণে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু করা হবে। নতুন কারিকুলামে বাংলাদেশের আর্থ, সামাজিক ও ভৌগোলিক সকল বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।’