নেত্রকোণার কলমাকান্দায় এক গরু ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা পোড়া মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রতিবেশী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কলমাকান্দা উপজেলার পাঁচগাঁও এলাকা থেকে বুধবার রাত ১০টার দিকে জনি মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩০ বছর বয়সী জনির বাড়ি এই উপজেলার তেরতোপা গ্রামে।
নেত্রকোণা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান বুধবার রাতে জনিকে প্রধান আসামি করে কলমাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় চার থেকে পাঁচ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ খান বলেন, ‘জনি এখনও পুরোপুরি মুখ খোলেনি। তবে তাকেই হোতা বলে মনে হচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই রহস্য উদঘাটন হবে। বৃহস্পতিবার জনিকে আদালতে তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
ভারত সীমান্তসংলগ্ন তেরতোপা গ্রাম থেকে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে জিআই তার দিয়ে হাত-পা বাঁধা ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার ভাই আতাউর রহমান বলেন, ‘জনির কাছ থেকে আমার ভাই মাঝেমধ্যে সুদ নিতেন। জনি সুদের কারবার ছাড়াও সীমান্ত দিয়ে গরু ও বিভিন্ন পণ্য আনা-নেয়া করতেন। মঙ্গলবার সকালে জনি আমার ভাইকে পাওনা টাকার জন্য পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
‘আমাদের ধারণা, জনিই তার লোকজন নিয়ে আমার ভাইকে মেরে আগুনে পুড়িয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, মজিবুর দীর্ঘদিন ধরে গরুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে অসুস্থতার জন্য তিনি কিছুদিন ধরে ব্যবসা করতে পারছিলেন না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মজিবুর পাঁচগাঁও বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন।
রাত ১১টার দিকে তার বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরের একটি ধানক্ষেতে হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। সেখানে মজিবুরের হাত-পা বাঁধা দেহের ওপর খড় জ্বলছিল। আগুন নেভানোর পর তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে বুধবার তার ময়নাতদন্ত হয়েছে।