বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবারও হচ্ছে না বই উৎসব

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:৪৬

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে এবারও বই উৎসব হবে না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল থেকে ভাগে ভাগে বই বিতরণ করা হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ ভাগ বই স্কুলগুলোতে পৌঁছে যাবে।’

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবারও বই উৎসব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

ঢাকার মাতুয়াইলে বৃহস্পতিবার প্রেসে গিয়ে বই ছাপানো পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে এবারও বই উৎসব হবে না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল থেকে ভাগে ভাগে বই বিতরণ করা হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ ভাগ বই স্কুলগুলোতে পৌঁছে যাবে।

‘বাকি পাঁচ ভাগ স্কুলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের ভেতর বই পৌঁছাবে। এ ছাড়া, এ বছর থেকে নতুন কারিকুলাম শুরু হবে, তবে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে জানুয়ারির শেষ নাগাদ।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত প্রাথমিকের প্রায় সব বই জেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। মাধ্যমিকের ২১ কোটি বই বাঁধাই হয়ে গেছে, বাকি ১৭ কোটি বেশি বই সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সব বই বাঁধাই কাজ শেষ হবে। বাঁধাই কাজ শেষ হওয়ার পর স্কুল পর্যায়ে তা পাঠিয়ে দেয়া হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরও বই উৎসব উপলক্ষে তেমন কোনো আয়োজন করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ২৩ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এর পর থেকে প্রতিটি শ্রেণিতে সীমিত পরিসরে ক্লাস হচ্ছে। তবে সরকার থেকে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে ফের বন্ধ করে দেয়া হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই বইয়ের মান ঠিক থাকুক। যদি আমরা জানতে পারি কেউ বইয়ের মান খারাপ করেছে, সেটি চিহ্নিত করা গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘পাঠ্যপুস্তকের মান ঠিক আছে কি না সেটি নিশ্চিত হতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পক্ষ থেকে সপ্তাহে দুই-তিন দিন করে মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও কোনো ত্রুটি পাওয়া গেলে সেসব বই বাতিল করে দেয়া হচ্ছে।’

মাতুয়াইলের মৌসুমী প্রেস, জনতা প্রেস ও প্রমা প্রেস পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা।

এ সময় যারা পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজে অনিয়ম করেছে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তাদের আর কখনও কাজ দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়েও কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন কারিকুলাম শুরু করার আগে আমরা ১০০টি স্কুলে নতুন কারিকুলামের গবেষণা চালাব ভেবেছিলাম। তবে সেটি কমিয়ে ৬০টি স্কুল করা হয়েছে। ওই স্কুলগুলোতে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই দেয়া হবে। বাকিদের জানুয়ারি মাসেই ধাপে ধাপে বই দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর