ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, শরীয়তপুর-চাঁদপুর, শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে আবারও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ায় ১০ ঘণ্টা পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাবউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘন কুয়াশায় ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় সকাল ১০টা থেকে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’
তিনি জানান, এই মুহূর্তে ১৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে ১০ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় এ নৌপথের উভয় ফেরিঘাট এলাকায় তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত বাস ও ট্রাক।
এ ছাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে বাইপাস সড়কের আড়াই কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সারি। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দের মোড়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে রয়েছে প্রায় ২ কিলোমিটার ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সারি।
প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যে দীর্ঘ সময় ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
এদিকে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘নদীর চ্যানেলে নোঙর করে থাকা তিনটি ফেরি হরিণার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। নরসিংহপুর ও হরিনাঘাট থেকেও ফেরিগুলো পারাপারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।’
ঘন কুয়াশায় বন্ধ থাকার ৭ ঘণ্টা পর শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথেও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ নৌপথে ৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছিল। কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং পদ্মা নদীতে রাত ২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
‘সকাল ৯টা থেকে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে নোঙর করা ফেরিঘাট এলাকায় প্রবেশ করে। এখন ৪টি ফেরি চলাচল করছে।’
তবে ঘাট এলাকায় এখন তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।