বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষা কর্মকর্তাকে ‘চড়’: শাহনেওয়াজ গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:২২

রাজধানীর উত্তরা-০৬ নম্বর সেক্টরের হোটেল ডি মেরিডিয়ানে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‍্যাবের মিডিয়া উইং থেকে নিশ্চিত করা হয়।

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ হারানো মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রাজধানীর উত্তরা-০৬ নম্বর সেক্টরের হোটেল ডি মেরিডিয়ানে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাবের মিডিয়া উইং থেকে নিশ্চিত করা হয়।

মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জামালপুরে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

এ সময় তার কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। বাহিনীটি থেকে পাঠানো ছবি ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গ্রেপ্তার শাহনেওয়াজের সামনে এক বোতল ফেনসিডিল, একটি তালা, অনেকগুলো চাবি, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার দুটি বান্ডিল, কয়েকটি মোবাইল, কয়েকটি লাইটার রয়েছে।

শাহনেওয়াজকে গ্রেপ্তারের সময় জব্দ করা মালামাল

শিক্ষা কর্মকর্তাকে চড়-থাপ্পড়ের অভিযোগে গত মঙ্গলবার দেওয়ানগঞ্জ পৌর মেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়, শাহনেওয়াজ শাহানশাহর আচরণ শিষ্ঠাচারবহির্ভূত ও অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের শামিল, যা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয়। জনস্বার্থের পরিপন্থি বলে সরকার মনে করে। তাই পৌরসভা আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

একই অভিযোগে গত সোমবার শাহনেওয়াজকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

যা হয়েছিল বিজয়ের অনুষ্ঠানে

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহের উল্লাহ নিউজবাংলাকে জানান, বিজয় দিবসের সকাল পৌনে ৭টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছিলেন তিনি। উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী তিনি একে একে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ডাকছিলেন।

মেহের জানান, তালিকার এক নম্বরে ছিল উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌরসভার মেয়রকে ডাকা হয়।

মেয়র শাহনেওয়াজ শ্রদ্ধা জানানো শেষে তাকে বলেন, ‘আমি ৫ নম্বরে কেন? আমি তো ১ নম্বরে যামু।’

মেহেরের অভিযোগ, এ কথা বলেই মেয়র তাকে চড় মেরে দ্রুত শহীদ মিনার এলাকা ছাড়েন।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ​কামরুন্নাহার শেফা বলেন, ‘শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থাপনা করার সময় আমি শহীদ মিনারের বেদিতে ছিলাম। নাম ঘোষণার সিরিয়াল নিয়ে মেয়র তাকে লাঞ্ছিত করেছেন।’

শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র জানান, ওই কর্মকর্তা সাবেক শিবির ও বিএনপির নেতা ছিলেন। তার ছোট ভাই এখন জামালপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং পূর্বপরিকল্পিত।

এ বিভাগের আরো খবর