বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লালমাই পাহাড়ে শখের চা বাগান

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৮:১২

তারিকুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শখের বসে চা বাগান করেছি। বিটি-২ জাতের চা গাছ রোপণ করেছি এখানে। বর্তমানে এ জাতের চায়ের রং ও স্বাদ খুবই চমৎকার। বাজারে বিটি-২ জাতের চায়েরও চাহিদা ব্যাপক।’

ছোট্ট টিলাগুলোতে ছোট ছোট গাছে সবুজ পাতা। পৌষের মিষ্টি রোদে দেখা যায় নতুন কুড়িগুলো আকাশমুখী। বছর দুয়েকের মধ্যে ডালপালা মেলে সেই গাছগুলো হয়ে উঠবে ঝুপড়ি। হবে প্রাপ্তবয়স্ক।

এরপর সেই গাছের ডাল থেকে সংগ্রহ করা হবে কচি পাতা। তা থেকে তৈরি হবে চা। সুঘ্রাণে মন মাতাবে সবার- এমন স্বপ্ন নিয়ে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি চা বাগান।

বাগানটির মালিক স্থানীয় তারিকুল ইসলাম মজুমদার। শখের বসে কুমিল্লা লালমাই পাহাড়ের বড় ধর্মপুর এলাকায় প্রায় এক একর জমিতে ছয় হাজার চা গাছ রোপণ করেছেন তিনি। তার ইচ্ছা এখানে চা পাতা প্রক্রিয়াকরণের কারখানাও গড়বেন। লালমাই পাহাড়ে উৎপাদিত চা দেশ ও দেশের বাইরে হবে বিখ্যাত।

নিজের লাগানো চা গাছ দেখছেন তারিকুল ইসলাম মজুমদার

তারিকুল চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রথম ৩ হাজার এবং জুন-জুলাই মাসে আরও ৩ হাজার চা গাছ রোপণ করেন। শিগগিরই আরও ৬ একর জমিতে অন্তত ১০ হাজার চা গাছ রোপণের ইচ্ছা তার।

তারিকুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শখের বসে চা বাগান করেছি। বিটি-২ জাতের চা গাছ রোপণ করেছি এখানে। বর্তমানে এ জাতের চায়ের রং ও স্বাদ খুবই চমৎকার। বাজারে বিটি-২ জাতের চায়েরও চাহিদা ব্যাপক।’

চা বাগানের উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে জিডি সান নামে আমার এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বন্ধু আছে। সে খাসিয়াদের রাজা। চা বাগান করতে সে-ই মূলত আমাকে সহযোগিতা করেছে।

‘জিডি সান দলবল নিয়ে কুমিল্লায় আসে। সে জানিয়েছিল, লালমাই পাহাড়ের মাটি চা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তারপর আমি চা বাগান করতে আগ্রহী হই।’

লালমাই পাহাড়ে গড়ে তোলা চা বাগান

এর আগে শ্রীমঙ্গলে চা বাগান করার উদ্যোগ নিলেও সফল হননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন লালমাই পাহাড়ে চা বাগান শুরু করেছি। নিজের জেলায়, নিজের বাড়ির কাছে। আশা করি, ব্যর্থ হব না।’

চা বাগান নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে তারিকুল বলেন, ‘এখানে আমার দেখাদেখি অন্যরা উদ্যোগী হবে চা বাগান করতে। পাশাপাশি এখানে চা তৈরির কারখানা করার ইচ্ছা আছে আমার, যেন লালমাই পাহাড়ে উৎপাদিত চা কুমিল্লা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যায়।’

লালমাই পাহাড়ে চা চাষের বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘লালমাই পাহাড় চা চাষের জন্য অনেক উপযোগী। লাল মাটির এ পাহাড়ে যদি বৃহৎ আকারে চা চাষের পরিকল্পনা করা যায়, তাহলে এখানকার চা নিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব। সে লক্ষ্য পূরণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম সহযোগিতা করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর