সিলেট চেম্বারের নেতৃত্ব প্রশ্নে বিরোধ গড়াল আদালতে। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে আদালতে গিয়েছেন গত চেম্বার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একটি পক্ষ।সিলেট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আব্দুর রহমান জামিলের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট।একই সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালককে (বাণিজ্য সংস্থা) নির্দেশ দিয়েছে আদালত।রিটের শুনানি শেষে বুধবার এই নির্দেশনা দেয় বিচারপতি এম এনায়েতুর রহমান ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ।গত ১১ ডিসেম্বর সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাচন হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্যানেল সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে ১১ জন করে পরিচালক নির্বাচিত হন।গত ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে থেকে সভাপতি ও দুই সহসভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।এতে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন আব্দুর রহমান জামিল। তবে বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে জামিল ও তার প্যানেলের সহসভাপতি প্রার্থী হুমায়ুন আহমদের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। প্রতিবাদে প্রেসিডিয়াম নির্বাচন বর্জন করেন সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে জয়ী ১১ পরিচালক।একপক্ষের বর্জনের পর ওই রাতেই সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থী তাহমিন আহমদকে সভাপতি এবং সহসভাপতি পদে ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ ও আতিক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ২০ ডিসেম্বর চেম্বারের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের (বাণিজ্য সংস্থা) কাছে আবেদন করেন আব্দুর রহমান জামিল। পরে তিনি চেম্বার নির্বাচন-পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরসহ নির্বাচন-পরবর্তী সব কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়।রিটকারী আব্দুল রহমান জামিল বলেন, ‘চেম্বার নির্বাচনে কমিশনের আচরণ ছিল পক্ষপাতমূলক। তারা অন্যায়ভাবে একটি পক্ষকে বিজয়ী করেছেন। আমরা এর বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। এই অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চেম্বারের নতুন কমিটির দায়িত্বগ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।রিটে যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন সচিব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিচালক (বাণিজ্য সংস্থা), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চেয়ারম্যান এফবিসিসিআইয়ের সালিশ ট্রাইব্যুনাল, চেয়ারম্যান সিলেট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনি আপিল বোর্ড, নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল, দুই সদস্য মিসবাউর রহমান আল ও মো. সিরাজুল ইসলাম শামীম এবং সিলেট চেম্বারের সভাপতি।আদালতের নির্দেশনা এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন সিলেট চেম্বারের বর্তমান সভাপতি এ টি এম শোয়েব।