বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৈমূরের আছে বাড়ি ও মামলা, আইভীর কিছুই নেই

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:১৩

হলফনামা অনুযায়ী সেলিনা হায়াৎ আইভী পেশায় চিকিৎসক। তবে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় সিটি করপোরেশনের সম্মানী ছাড়া তার এখন কোনো আয়ের উৎস নেই। পেশায় আইনজীবী তৈমূরের বার্ষিক আয় ৮ লাখ ১ হাজার ৬৪১ টাকা। তার নামে আছে একাধিক মামলা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর নামে বাড়ি, গাড়ি বা জমি কিছুই নেই। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর আলম খন্দকারের আছে রাজউকের পাঁচ কাঠার প্লট ও একটি নির্মাণাধীন বাড়ি। এ ছাড়া আছে একাধিক মামলা।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় তারা এসব তথ্য দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে।

হলফনামা অনুযায়ী সেলিনা হায়াৎ আইভী চিকিৎসাবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রিধারী। পেশায় তিনি চিকিৎসক। তবে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সম্মানী ছাড়া তার এখন কোনো আয়ের উৎস নেই।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে তিনি বছরে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা সম্মানী পেয়ে থাকেন।

তার কাছে বর্তমানে আছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০১ টাকা। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা আছে ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৯০৫ টাকা।

স্বর্ণ ও অলংকার আছে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের। এ ছাড়া তার আর কোনো সম্পদ নেই। কোনো ব্যাংক ঋণ নেই, নেই কোনো মামলাও।

হলফনামার তথ্যের বিষয়ে আইভী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাড়ি, গাড়ি ও জমি কিছুই নেই। যা ছিল তা ভাইদের ও মাদ্রাসায় দান করেছি। বর্তমানে বাবার বাড়িতে থাকি ভাইদের সঙ্গে।

‘আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষকে ভালোবাসি। আমি বিশ্বাস করি, তারাও আমাকে ভালোবেসে এবারও নির্বাচিত করবেন।’

পেশায় আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকারের হলফনামার তথ্যানুযায়ী তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। বার্ষিক আয় ৮ লাখ ১ হাজার ৬৪১ টাকা। তিনি বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা থেকে বছরে ভাড়া পান ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৪১ টাকা।

এ ছাড়া শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আয় ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং আইন পেশা থেকে পান ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

তার নগদ অর্থের পরিমাণ ৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর আছে ২ লাখ টাকা। এ ছাড়া রাজউক থেকে পাওয়া ৫ কাঠার প্লট ও ২৭৬ বর্গমিটার আয়তনের একটি বাড়ি নির্মাণাধীন আছে।

যৌথ মালিকানায় থাকা ২০০ শতাংশ কৃষি জমি আছে তার। অকৃষি জমির পরিমাণ ৩০ শতাংশ। কোনো ব্যাংকে লোন বা দায় নেই তার।

বিএনপি এ নেতার বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে ১০টি। তার মধ্যে পাঁচটি বিচারাধীন, তিনটি উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত ও দুটি চার্জ শুনানির পর্যায়ে আছে। সব মামলা নারায়ণগঞ্জে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে হয়েছে।

এর আগে তার বিরুদ্ধে হওয়া ২০টি মামলার মধ্যে ৭টি রাষ্ট্র প্রত্যাহার করে। উচ্চ আদালতে নির্দেশ স্থগিত আছে ৬টি এবং অব্যাহতি পেয়েছেন ৬টি মামলায়।

তৈমূর আলম খন্দকার নিউজবাংলাকে জানান, রাজউকের পাঁচ কাঠা জমি ছাড়া বাকি সম্পত্তি পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন তিনি।

মামলার বিষয়ে তৈমূর বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে তা রাজনৈতিক কারণে করা হয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেননি। এ কারণে প্রায় সব মামলায় সরকারি কাজে বাধা দেয়াসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য নির্বাচন করব। কারণ তারা এবার আমার পাশে আছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর