এইচএসসি পরীক্ষার ১৩তম দিনে দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডে প্রায় চার হাজার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকালের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার ৯৫২ জন। বিকেলের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন চারজন।
বুধবার সকালে হয় ভূগোল (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র পরীক্ষা। এতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত থাকেন ৮৪৮ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৩, রাজশাহী বোর্ডে ১ হাজার ৩৫৫, বরিশাল বোর্ডে ৯৯, সিলেট বোর্ডে ৯, দিনাজপুর বোর্ডে ৪৮০, কুমিল্লা বোর্ডে ৬৩, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৬৬ এবং যশোর বোর্ডে ৯১৯ জন।
বিকেলে হয় আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা। এতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত থাকেন তিনজন, বরিশাল বোর্ডে একজন।
সাধারণত প্রতি বছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছেন ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫২ জন।
সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমের জন্য নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬১ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৫১ হাজার ৪০৬ জন।
এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৭ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৪২ জন।
দেশে ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।