ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় এক বৃদ্ধকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম ৫ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
৭০ বছর বয়সী আসামির নাম সিরাজ মিয়া।
আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস আসামিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সুরুজ মিয়াকে বিকেল ৫টার দিকে আদালতে তোলা হলে বিচারক মমিনুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে পরিবারের জিম্মায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির ফরেনসিক পরীক্ষা করাতে নির্দেশ দেন বিচারক।
‘এ ছাড়া ঘটনা তদন্ত করে ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
স্থানীয়দের বরাতে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, সোমবার বিকেলের দিকে ৯ বছর বয়সী ওই শিশুকে খাবার ও টাকা দেয়ার কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী সিরাজ মিয়া। এমন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজকে আসামি করে ধোবাউড়া থানায় মামলা করেন শিশুর মা।
মঙ্গলবার স্থানীয় ইউপি সদস্য মোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। ঘটনা জানাজানি হলে বিকেলের দিকে তার নির্দেশে সিরাজকে ধরে উপজেলার এরশাদ বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে বাজারে ঘোরানো হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। নিউজবাংলার পরিচয় দিয়ে এসএমএস দিলেও সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শোনার পরপরই পুলিশকে জানিয়েছি। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধ সুরুজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
ধর্ষণ প্রমাণিত হওয়ার আগেই জুতার মালা পড়ানো মানবাধিকার লঙ্ঘন কিনা জানতে চাইলে ওসি আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই বৃদ্ধকে জুতার মালা পড়ানোর ঘটনাটি শুনেছি। বৃদ্ধের পরিবার অভিযোগ জানালে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।’