সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাবরিনা আক্তার মিতুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ দপ্তর আয়োজিত শোকসভায় উপাচার্য এ আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সাবরিনাকে এখন আর পাব না, তবে তার হত্যার যেন সুষ্ঠু বিচার হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি সেলের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া যেহেতু তার পরিবার অসচ্ছল, সে পড়াশোনা শেষ করে কিছু না কিছু করত, আমরা তো সেই পর্যায়ে কিছু করতে পারব না, তবে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিকভাবে দীর্ঘমেয়াদি সাহায্যের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরাও চাই সাবরিনা হত্যার বিচার হোক। আমাদের হল না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাইরে থেকে এক ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার আতঙ্ক নিয়ে আসতে হয়। নতুন ক্যাম্পাস হয়ে গেলে আর এ আতঙ্ক থাকবে না। আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিতুর পরিবারের যেকোনো সহযোগিতায় পাশে থাকব।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়্যারপারসন ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবীর বলেন, ‘মেয়েটি গ্রামে যাওয়ার তিন দিন আগেও দেখা করে যায়। মেয়েটি খুবই হাসিখুশি থাকত। আমি আসলে তাকে ভুলতে পারছি না।
‘সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িতরা আইনের আওতায় আসছে না। তাদের বিচার হওয়া দরকার। আমি কখনও এমন শোক সভায় দাঁড়াতে চাই না। মেয়েটির পরিবার খুবই দরিদ্র। তার পরিবারের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত।’
শোকসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বেপরোয়া গতির ট্রাকের চাপায় জবির সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মিতু নিহত হন। ২২ বছর বয়সী মিতু সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম রামপুরা মোল্লাবাড়ির মর্তুজা ভূঁইয়ার মেয়ে।