হেফাজতে ইসলামের অর্থের উৎসের তথ্য চেয়ে ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বুধবার অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হকসহ কয়েক জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তা উল্লেখযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান। ১৭ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, দপ্তর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য দেয়া হয়েছে। তবে এখনও উল্লেখযোগ্য তথ্য হাতে আসেনি। পর্যালোচনা চলছে। বিদেশি ফান্ডিং সম্পর্কে এখনও দুদক তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে কিছু জানা যায়নি।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বরাবর অভিযোগ-সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল বলে জানান আনোয়ার হোসেন।
হেফাজত নেতাদের সম্পদসংক্রান্ত তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা রেজিস্ট্রার, জীবন বীমা করপোরেশন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউক, রিহ্যাব, সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিস, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ডাক বিভাগ এবং তফসিলি ব্যাংকগুলোতেও চিঠি পাঠানো হয়।
পাশাপাশি হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, পটিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর ১৯টি মাদ্রাসার নামে ক্রয়কৃত জমির তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় দুদক।
এ ছাড়া, হেফাজতের সাবেক নেতা মামনুল হক, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহম্মেদ এবং মোহাম্মদ মহসিন ভূইয়ার আয়করের নথি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানান দুদক সচিব।