বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত শতাধিক

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:১২

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জের শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরাও সমবেত হন। সড়কে সমাবেশ করতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।

হবিগঞ্জে বিএনপির প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।

গুরুতর অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রিংগনসহ কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বুধবার দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এ সময় রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ।

চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে এবং তার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের শায়েস্তানগরে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরাও সমবেত হন।

শহরের প্রবেশমুখের সড়কে সমাবেশ করতে চাওয়ায় বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় নেতা-কর্মীদের ব্যারিকেড দিয়ে রাখে পুলিশ।

দুপুর দেড়টার দিকে ব্যারিকেড ভেঙে যুবদল নেতা-কর্মীরা প্রধান সড়কে আসতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে হাতাহাতির এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।

পুলিশ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয় হবিগঞ্জ

এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুটতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। এতে শায়েস্তানগর পয়েন্ট রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়লে পিছু হটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। কিছুক্ষণ পরে আবারও এগিয়ে এসে ইট-পাটকেল ছুড়লে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ বাধে।

পরে বেলা আড়াইটার দিকে রাস্তা ছেড়ে চলে যান নেতা-কর্মীরা।সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রিংগনসহ কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

গুরুতর আহতদের মধ্যে আছেন জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার আহমেদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শফিকুর রহমান সিতু, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আশফাক ও মোশাহিদ আহমেদ।

সংঘর্ষের পর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জি কে গউছের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ডা. মোশাররফ।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করাতে সরকার যে বাধা সৃষ্টি করছে সেই বাধা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

‘আজকে আমরা হবিগঞ্জে সমাবেশ করতে এসেছিলাম। কিন্তু সরকারের নির্দেশে হবিগঞ্জের প্রশাসন আমাদেরকে সমাবেশ করতে দেয়নি। সমাবেশ আসতে বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে।’

সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা হয় গাড়িও

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ আমাদের সমাবেশ মঞ্চের চারপাশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। আমাদের অনেক নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।’ হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শৈলেন চাকমা বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা রাস্তায় সমাবেশ করতে চেয়েছে। যে কারণে আমরা তাদেরকে বাধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শত শত বিএনপি নেতা-কর্মী পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়।’তিনি আরও বলেন, ‘সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় কী পরিমাণ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়া হয়েছে সেটির হিসেব এখনও করা হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর