কুষ্টিয়ার বটতৈলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনার করা মামলায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
খাজানগর-দোস্তপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে সংঘর্ষের পর রাত ১২টার দিকে ২০ জনের নামসহ চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষকে আসামি করে মামলা করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার এস আই দীপঙ্কর।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাব্বিরুল আলম জানান, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আহত কেউ এখনও মামলা দেননি।’
কুষ্টিয়া পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা শান্তিপূর্ণ কুষ্টিয়াকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের দিকে আমাদের কঠোর নজরদারি আছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউপি নির্বাচন ঘিরে কেউ যদি জল ঘোলা করার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে পুলিশ শক্ত অবস্থান নেবে। বটতৈল ইউনিয়ন বিশেষ নজরদারিতে আছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আশা করি আর কোনো অঘটন ঘটবে না।’
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দোস্তপাড়া ক্লাবমোড়ে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মিন্টু ফকিরের মিছিলে হামলা হয়। অভিযোগ আছে, বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী মোমিন মণ্ডলের সমর্থকদের ওই হামলায় মিন্টুসহ পাঁচজন আহত হন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ছবি: নিউজবাংলা
মিন্টুকে হাসপাতালে ভর্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর খাজানগর এলাকায় সড়কের ওপর জড়ো হতে থাকেন তার সমর্থকরা। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে জড়ো হন আহত প্রার্থীর কয়েক হাজার কর্মী।
তারা ইট-পাটকেল, লাঠি, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোস্তপাড়া ক্লাবমোড়ের দিকে এগোতে থাকেন। এতে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা উত্তেজিত সমর্থকদের গতিরোধ করলে তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১০ সমর্থক আহত হন। এ ছাড়া আহত হন পুলিশের এক সদস্য। তাকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।