উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে আইন প্রণয়ন শিগগিরই হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাজধানীর গুলশান-২-এ বুধবার বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ‘সিক্সটিন ডেজ অফ অ্যাক্টিভিজম’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা জানান।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগসহ আরও কিছু বিষয়ে আইন প্রণয়নে উদ্যোগ কেন নেয়া হচ্ছে না, তা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান ওই সাংবাদিক।
উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম কথাটাই তো আপনারা বললেন যেটা, সেটা মানুষ শুনলে পরে একটু রাগান্বিত হওয়ার কথা যে উদ্যোগ কেন নেয়া হচ্ছে না। উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এখন আমি আপনাদের একটা কথা বলি, সংবিধানে অনেকগুলো অনুচ্ছেদে বলা আছে আইন করার কথা এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কিন্তু অনেকগুলো আইন করেছি এবং যেগুলোতে করা হয়নি, সেগুলোতে আইন করার প্রক্রিয়া কয়েকটার মধ্যে চলছে। যেমন ধরেন, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, ইলেকশন কমিশন এসবের আইন। এক আইনের মধ্যেই কিন্তু এগুলো করা যায়।
‘সেই ক্ষেত্রে আমরা এটার উদ্যোগে নিয়েছি। আইন করার প্রক্রিয়াটা আপনারা হয়তো জানেন। কিছুটা আলাপ-আলোচনা করে তারপর সাংবিধানিক যেটা (প্রক্রিয়া) দেয়া আছে, সেগুলো শেষ করতে হবে। তো সেই কারণে আমি বলি, একটু অপেক্ষা করলেই কিন্তু আমরা দেখব যে এই আইনগুলো হয়েছে।’
বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়নের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়ত যেটা, সেটা হচ্ছে যে বিচারপতি নিয়োগ। বিচারপতি নিয়োগের আইনটা আমি আপনাদের আগে বলেছি যে এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ এটা কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে।’
সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ নিয়ে কী আছে সংবিধানে
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও আইনের কথা বলা হয়েছে।
৯৫ অনুচ্ছেদের ধারা ১ অনুযায়ী, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করিবেন।’
অনুচ্ছেদটির ২ নম্বর ধারায় বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক না হইলে, এবং সুপ্রিম কোর্টে অন্যূন ১০ বৎসরকাল অ্যাডভোকেট না থাকিয়া থাকিলে অথবা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে অন্যূন ১০ বৎসর কোনো বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠান না করিয়া থাকিলে অথবা সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগলাভের জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকিয়া থাকিলে তিনি বিচারকপদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।’