ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর গ্রামের প্রয়াত তসলিম উদ্দীনের স্ত্রী ‘বীরাঙ্গনা’ মাজেদাকে কেন ভাতা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তার খেতাব বাতিল করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে আদালত।
এ-সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি মো. মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনকারী মাজেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম ও সাবরিনা জেরিন।
ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন জানান, ‘বীরাঙ্গনা’ মাজেদাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই থেকে তিনি প্রতি মাসে ভাতাসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছিলেন, তবে একই এলাকার প্রয়াত দারাজ উদ্দিনের স্ত্রী আরেক মাজেদার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই ও শুনানির পর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর আরেকটি গেজেট জারি করা হয়। সে গেজেটে প্রয়াত দারাজের স্ত্রী মাজেদাকে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
নতুন গেজেটের পর ২০১৬ সালের গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া প্রয়াত তসলিম উদ্দীনের স্ত্রী মাজেদার ভাতা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়।
কেন মাজেদার ভাতা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হলো তার যথাযথ কারণ জানতে চেয়েও পাননি বলে জানান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন।
তিনি বলেন, ‘আমার মক্কেল যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার চিঠি দিয়েও তার স্বীকৃতি ও ভাতা বাতিলের কোনো কারণ জানতে পারেননি। একপর্যায়ে আমার মক্কেল মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের কারণ ও তার ভাতা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা পুনর্বহাল চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবর আইনি নোটিশ দেয়।
‘সে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় আদালতে তার পক্ষে আমরা রিট করি। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দিয়েছে।’