রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় একটি বাসা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্টের একটি বাসার পাঁচতলা থেকে মো. মেহেবুল্লাহ তৌশিব নামের এই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলো সদ্য জগন্নাথে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহটি।
নিউজবাংলাকে বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে মরদেহ।
হাতিরঝিল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে মহানগর প্রজেক্টের ওই বাসায় যাই। এসময় ভবনের পাঁচতলা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহ উদ্ধার করি।’
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এসআই মো. নজরুল ইসলাম আরও জানান, ওই শিক্ষার্থী এক সপ্তাহ আগে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, মো. মেহেবুল্লাহ তৌশিবের বাবার নাম মো. মেজবা উদ্দিন। পটুয়াখালীর দশমিনা থানার দক্ষিণ আদমপুরের বাসিন্দা তৌশিব।
মহানগর প্রোজেক্টের ব্লক-ডি’র আট নম্বর রোডে তার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় সম্প্রতি ওঠেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, এইচএসসি পরীক্ষার আগেও তিনি একবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। তিনি সবসময় হতাশাগ্রস্ত থাকতেন।
পুলিশ আরও জানায়, মঙ্গলবার অনুমান রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ভিকটিমের আপন চাচাতো ভাই মো. মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ বাইরে থেকে বাসায় এসে দেখতে পান ভিকটিম নাইলনের রশি দিয়ে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।