ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে দুই আসামিকে খালাসের রায় বাতিল করে কেন তাদের সাজা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
দুই আসামি হলেন মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
বিচারিক আদালত থেকে দুই আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।
ওই মামলায় দীর্ঘ বিচার শেষে চলতি বছরের ৯ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় দেন।
রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এ ছাড়া এসকে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে বলে তাকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানায় আইনজীবীরা।
মামলার দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দেয় বিচারিক আদালত।
এ ছাড়া মামলার অপর আট আসামির মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীমকে চার বছরের দণ্ড, আর ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), একই ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত।
দুই আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আপিল করে দুদক।