চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তার রাইফেল ও গুলি।
সদর উপজেলার বড় শলুয়া গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে বুধবার ভোর ৫টার দিকে ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়।
৫১ বছর বয়সী ফারুক তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিন পাশের এলাকার আরাফাত হোসেন সরণি বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মধ্যে কলহ হয়। পরে ফারুক স্ত্রীর কর্মস্থলে গিয়ে সেখানেও বাগবিতণ্ডা করেন।
এরপর বাড়ি গিয়ে নিজের নামে লাইসেন্স করা টুটু বোর রাইফেল নিয়ে এসে স্ত্রীর দিকে দুটি গুলি ছোড়েন। তবে গুলিগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
রাতে ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নাই। আমি খ্যাপা কুকুর মারার জন্য লাইসেন্স করা রাইফেল থেকে দুটি গুলি করেছি। বাংলাদেশের সংবিধান আছে, খ্যাপা কুকুর মারা যাবে।
‘আমি এই এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি। নির্বাচনের আগে প্রতিপক্ষরা আমার নামে কুৎসা রটানোর জন্য বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে।’
ওসি জানান, গুলি করে স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফারুককে আটক করা হয়েছে। তার রাইফেল ও ১৩৪টি গুলি জব্দ করেছে পুলিশ। তার স্ত্রী এ বিষয়ে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।