বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পুরোপুরি সুস্থ। স্বাস্থ্যের নিয়মিত পরীক্ষাও কমিয়ে দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের ক্যাবিন থেকে অফিসের কাজও করতে পারছেন তিনি।
বুধবার সকালে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন কাদেরের চিকিৎসায় গঠিত ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের বিএসএমএমইউর অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পুরোপুরি সুস্থ আছেন। ভর্তি হওয়ার পর প্রতিদিন নিয়মিত অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হতো। তবে এখন সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা কমানো হয়েছে।
‘এ ছাড়া উনার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনায় আগে প্রতিদিন মেডিক্যাল বোর্ড বসত। সেটাও অনেকটা কমিয়ে আনা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মতো উনি ক্যাবিনের মধ্যে চলাফেরা করছেন। এমনকি ক্যাবিন থেকে উনি তার অফিসের অনেক কাজ করছেন।’
ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিলে ১৪ ডিসেম্বর সকালে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করানো হয় ওবায়দুল কাদেরকে। হাসপাতালের ৩১২ নম্বর ভিআইপি ক্যাবিনে তার চিকিৎসা চলছে।
গত রোববারই ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠক শেষে জানায়, ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা পুরোপুরি সুস্থ। তার বাড়ি ফিরতে কোনো বাধা নেই। তবে এখনও হাসপাতালেই থাকছেন তিনি।
হাসপাতালে থেকেই ফের দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন কাদের। এরই মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে বিবৃতিও দিয়েছেন তিনি। সবশেষ মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ ইস্যুতে বিএনপিকে খোঁচা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপিকে রাজনৈতিক অপশক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের কবে নাগাদ বাসায় যাবেন, জানতে চাইলে চিকিৎসক আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে কোনো বাধা নেই। উনি চাইলে ছুটি (ছাড়পত্র) দেয়া হবে। উনি বাসায় যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ ফিট রয়েছেন। চাইলে আজকেও বাসায় যেতে পারবেন। বাসায় গেলে দলীয় কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন হয়তো, এই কারণে তিনি এই হাসপাতালে বিশ্রাম করছেন।’
এর আগে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিএসএমএমইউতে ভর্তি হয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। পরে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় কাদেরকে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আবার রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় হন তিনি।