বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করেছেন দেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের কার্যালয়ে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতিপত্র (এলওআই) পাওয়া পিপলস ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম।
দুপুর ১টার দিকে সাকিব আল হাসান ও আবুল কাশেমকে এক গাড়ি থেকে নেমে গভর্নর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ঘণ্টাখানেক তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অবস্থান করেন।
গভর্নর সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুপুর ১টার কিছু সময় পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আরেকজন ব্যক্তি গভর্নরের কক্ষে ঢুকেছিলেন। তবে কী নিয়ে তাদের কথা হয়েছে, জানি না।’
গত কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, ক্রিকেটের মাঠের মতোই দেশের করপোরেট জগতে অবস্থান শক্তিশালী করেছেন সাকিব আল হাসান। ব্রোকারেজ হাউজ ও স্বর্ণ আমদানি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের পর এবার দেশের ব্যাংক খাতে যুক্ত হচ্ছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকা পিপলস ব্যাংকের দুটি উদ্যোক্তা পরিচালক পদের মালিকানা যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়ের হাতে। সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি তার মা শিরিন আক্তারও ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়েছে পিপলস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ধারণা করা হচ্ছে, এ বিষয়ে কথা বলতেই হয়তো সাকিব গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
পিপলস ব্যাংকের অনাপত্তির আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় রয়েছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিপলস, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ও সিটিজেন ব্যাংককে এলওআই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
বাকি দুটি লাইসেন্স পেলেও পিপলস ব্যাংকের ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।